img

Follow us on

Wednesday, Jun 26, 2024

Heart Attack: হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুভয় রুখে দেবে তিন পদক্ষেপ! কী করলে কমবে প্রাণ-সংশয়? 

দেশ জুড়ে বাড়ছে হৃদরোগের সমস্যা, কী বলছেন চিকিৎসকেরা?

img

প্রতীকী চিত্র।

  2024-06-06 17:57:38

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

দেশ জুড়ে বাড়ছে হৃদরোগের সমস্যা। তরুণ প্রজন্মের একাংশ ভুগছে নানান‌ হৃদ সমস্যায়। খুব কম বয়স থেকেই কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ আর ডায়াবেটিসের কবলে পড়ছেন অনেকেই। আর এর জেরেই বাড়ছে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি। তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগ মানেই মৃত্যুভয় নয়! বরং সচেতনতা থাকলেই কমবে প্রাণ-সংশয়। তাই বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে অযথা উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই। বরং চটজলদি সচেতন ভাবে কিছু পদক্ষেপ নিলেই বড় বিপদ এড়ানো যাবে। তাহলে জেনে নিন, কোন তিন পদক্ষেপ কমাবে মৃত্যুর আশঙ্কা?

গোল্ডেন আওয়ারে হাসপাতালে নিয়ে যেতেই হবে (Heart Attack)

চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হয় না। হার্ট অ্যাটাকের পরের ৪৫ মিনিট সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এই সময়কেই বলা হয় গোল্ডেন আওয়ার। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই রোগী এই গোল্ডেন আওয়ারের পরে হাসপাতালে পৌঁছন। চিকিৎসা শুরু হয় অনেকটাই দেরিতে। এর জেরে সমস্যা আরও জটিল হয়। প্রাণ-সংশয়ের আশঙ্কা বাড়ে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, সচেতনতা না বাড়লে এই সমস্যা কমবে না। হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঘটনাও বাড়বে। পরিবারের কেউ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস কিংবা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগলে তার নির্দিষ্ট সময় অন্তর চিকিৎসকের পরামর্শ মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো দরকার। এর পরেও হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে রোগীর খুব ঘাম হওয়া, জ্ঞান হারানো কিংবা বুকে যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা দিলে একেবারেই দেরি করা চলবে না। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। হাসপাতালে সময় মতো নিয়ে যেতে পারলে, মৃত্যু ঝুঁকি কমবে।

আক্রান্তকে জাগিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে (Heart Attack) 

বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হার্ট অ্যাটাক হলে অনেকেই জ্ঞান হারান। আর এই উপসর্গ যথেষ্ট উদ্বেগজনক। পরিবারের সদস্যদের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, আক্রান্তকে সজাগ রাখার চেষ্টা করতে হবে। হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে, যেন রোগী জ্ঞান না হারান, সে দিকে নজর দিতে হবে (Heart Attack)। এতে মস্তিষ্কে প্রভাব পড়ার ঝুঁকি কমে। মস্তিষ্ক ও স্নায়ু সক্রিয় থাকে। ফলে, শারীরিক পরিস্থিতি সহজে অবনতি হয় না। পাশপাশি তার শ্বাস নেওয়ায় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কেউ বুকের যন্ত্রণা অনুভব করলে কিংবা শারীরিক অস্বস্তি হলে, ভিড় এলাকা থেকে সরিয়ে আনতে হবে। আশপাশের পরিবেশ যাতে শান্ত থাকে, সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে। অকারণ উত্তেজনা তৈরি হলে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে।

চেস্ট কম্প্রেসন সম্পর্কে সচেতন হলেই ঝুঁকি কমবে (Heart Attack)

হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর চেস্ট কম্প্রেসন দিতে পারলে তা খুবই উপকারী। এমনটাই জানাচ্ছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই নিয়ে একাধিক কর্মশালা হয়। তাই পরিবারের কেউ হৃদ সমস্যায় আক্রান্ত থাকলে, সদস্যদের এই বিষয়ে সচেতন থাকা দরকার। মিনিটে ১০০ বার হালকা চেস্ট কম্প্রেসন করলে হৃদ রোগে আক্রান্তের প্রাণের ঝুঁকি অনেক কমে। রক্ত সঞ্চালন কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতাও ফিরিয়ে আনার প্রাথমিক চেষ্টা হয়। তাই হাসপাতালে আনার পথে এই চেস্ট কম্প্রেসন দিতে পারলে রোগীর ঝুঁকি অনেকটাই কমবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 

তবে, হার্ট অ্যাটাক রুখতে সচেতনতা ও সতর্কতা আরও বাড়ানো দরকার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, জীবন যাপন স্বাস্থ্যকর করলে, চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললে বড় বিপদ এড়নো সম্ভব (Heart Attack)।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

Heart attack

bangla news

Bengali news

Cholesterol

Heart Attack Symptoms

pressure

chest pain

atherosclerosis

blockage

plaque buildup

myocardial infarction

tightness

Shortness of breath

golden hour


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর