মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যখন হৃদপিণ্ডের কোনও শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহে বাধার সৃষ্টি করে তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। বিভিন্ন কারণ যেমন- উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, উচ্চ কোলেস্টোরলের সমস্যা, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, মানসিক চাপ—এগুলির ফলেই মূলত হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় কোনও রকম ব্যথা ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে বা কোনও লক্ষণ ছাড়াই হার্টের বিভিন্ন রোগ বা হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তবুও যেসব লক্ষণ হার্টের পক্ষে ক্ষতিকারক বা যেসব কারণের জন্য হার্ট অ্যাটাক হতে পারে সেই লক্ষণগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- অ্যাঞ্জিনা বা বুকে ব্যথা: বুকে ব্যথা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার প্রধান লক্ষণ। বুকে ব্যথা হওয়ার সময় কোনওরকম অস্বস্তি, চাপ অনুভূত হলেই হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
- বদহজম, বুকজ্বালা, পেট ব্যথা: অনেকেরই হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সময় এই লক্ষণগুলো দেখা যায়। বিশেষ করে পুরুষদের থেকে মহিলাদের হার্ট অ্যাটাক হলে এই লক্ষণগুলি দেখা যায়।
- ব্যায়াম না করলে: পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যায়াম না করলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
- মানসিক চাপ: মানসিক চাপ থাকলেই তা হার্টের ওপরে প্রভাব ফেলে। এই চাপ দীর্ঘকালীন হলে পরে তা রক্তে কোলেস্টেরল, শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ও উচ্চ রক্তচাপও দেখা যায়। এইসব কারণেও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
- ডায়াবেটিস: যারা ডায়াবেটিসের রোগী তাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা, শর্করার মাত্রা বেশি থাকে, ফলে হার্টের শিরা ধমনীতে রক্ত চলাচলে বাধার সৃষ্টি হতে পারে। ফলে এর থেকে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: হার্টের রোগের ঝুঁকি রয়েছে কাদের, বলে দেবে ব্লাড গ্রুপ!
- অতিরিক্ত মদ্যপান: অতিরিক্ত মদ খাওয়ার ফলেও হার্টের বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে ও হার্ট অ্যাটাক হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়।
- ওবেসিটি: ওবেসিটিকে ‘সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক’ বলা হয়। ওবেসিটি রোগীদের দেহে বেশি পরিমাণে রক্তের প্রয়োজন হয় ফলে সেই রক্তের পরিমাণ নিয়ন্ত্রন করতে রক্তচাপ বেড়ে যায় আর রক্তচাপ বাড়লেই হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
- কাশি: আপনার যদি দীর্ঘ দিন কাশির সমস্যা থাকে, তবে বুঝতে হবে আপনার হার্ট ঠিক মতো কাজ করছে না। ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তবে হ্যাঁ, কাশি সব সময় হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ নাও হতে পারে।
তাই এইসব সমস্যা থাকলে বা এইসব লক্ষণ দেখা দিলে আগে থেকেই সতর্ক হয়ে যান ও ডাক্তারের পরামর্শ নিন।