Monkeypox: স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দুশ্চিন্তার বিষয়টি হ'ল ভাইরাসটি কমিউনিটির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং সম্ভবত সংক্রমণের একটি নতুন মাধ্যমও তৈরি হচ্ছে।
ইউরোপে ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) বিষয়ে ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা জারি করেছেন সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। মধ্য এবং পশ্চিম আফ্রিকা থেকে আসা এই রোগ বেশ দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে ইউরোপের দেশগুলিতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯২ জনের এই রোগ ধরা পড়েছে। আরও ২৮ জন আক্রান্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্রিটেন, ইতালি, পর্তুগাল, স্পেন এবং সুইডেনে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। ফ্রান্স, ইতালি, সুইডেন এবং অস্ট্রেলিয়ায় নতুন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাঙ্কিপক্স সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে এইসব অঞ্চলে ভ্রমণে আসার কারণেই বাইরের দেশে ছড়িয়েছে এই রোগ। সব দেশগুলিতে নজর চালচ্ছে সংযুক্ত রাষ্ট্রসংঘ। যে দেশগুলি এখনও আক্রান্ত নয়, সে দেশগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাঙ্কিপক্স একটি বিরল ভাইরাল সংক্রমণ। রোগটি সাধারণত খুব সংক্রামক নয় এবং মানুষ কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সেরে ওঠেন। এই রোগে মৃত্যুর হার এক শতাংশের চেয়েও কম। রোগটি করোনার মতো সংক্রামক নয়। আমেরিকায় এই রোগের প্রথম কেস ৭ মে ধরা পড়ে। রোগী সম্প্রতি নাইজেরিয়া ভ্রমণে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে তিনি ভাইরাসে আক্রান্ত হন।
ছড়াচ্ছে নয়া ভাইরাস! সতর্কতা জারি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের, জরুরি বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ত্বকের সংস্পর্শে এলেই মূলত ছড়ায় এই রোগ। রোগের উপস্বর্গগুলি হল, র্যাশ, জ্বর এবং ব্যথা। এটা অনেকটাই ছোট পক্সের মতো, কিন্তু ছোট পক্সের থেকে অনেকটাই কম ভয়ঙ্কর। রোগটি করোনার মতো শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণ করে না বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক আধিকারিক জানান, "যৌন সংসর্গে এই রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কোনও ব্যক্তি যদি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হন এবং তিনি যদি যৌন কার্যকলাপে লিপ্ত হন, সেক্ষেত্রে অপর সুস্থ ব্যক্তির দেহে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ তিনিও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন।"
স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দুশ্চিন্তার বিষয়টি হ'ল ভাইরাসটি কমিউনিটির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং সম্ভবত সংক্রমণের একটি নতুন মাধ্যমও তৈরি হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা, কোনও উৎসবে বা অনুষ্ঠানে বেশি লোক একত্রিত হলে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই রোগের মহামারী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। টিকা এবং ওষুধের ব্যবহারে এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। চিকেন পক্সের টিকা এবং ওষুধ দুই-ই এই ভাইরাসের ওপর কার্যকরী বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যাদের শরীরে কোনও রকম দানা বা র্যাশ রয়েছে তাদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চললেই এই রোগ থেকে বাঁচা সম্ভব বলে মনে করছেন তাঁরা।