করোনার নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট জেএন ১ সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য জানুন
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট জেএন ১ (JN.1)-এ আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল কেরলে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের ডিরেক্টর জেনারেল ড. রাজীব বহেল জানিয়েছেন, গত ৮ ডিসেম্বর তিরুঅনন্তপুরম জেলার কারাকুলামে এক করোনা পজিটিভ রোগী মিলেছে, যিনি জেএন ১ সাবভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। আগেই তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লিতে সিঙ্গাপুর থেকে আগত এক পর্যটকের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। ভারত ছাড়াও সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, চিনে এই সাবভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। চিনে জেএন ১ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ জন। গত ১৫ ডিসেম্বর চিনে এই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে।
বিশেষজ্ঞরা এই সাবভ্যারিয়েন্টের ধরন বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, নতুন কোনও উপসর্গ জেএন১ আক্রান্তদের মধ্যে পাওয়া যায়নি। দেখা যাচ্ছে জেএন ১ আক্রান্তদের শরীরে লক্ষণ কোভিড ১৯-এর মতোই। এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থতাও লক্ষ্য করা যায়নি। কোনও ওষুধ ছাড়া অথবা হালকা ওষুধেই তাঁরা সেরে উঠছেন বলে খবর। করোনার চিকিৎসায় যে সমস্ত ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছিল, সেগুলিই এক্ষেত্রে কার্যকরী হবে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা। করোনার ভ্যাকসিনও এক্ষেত্রে যথেষ্ট কার্যকরী।
১. জেএন ১ (JN.1) সাব-ভ্যারিয়েন্ট প্রথম লুক্সেমবার্গে শনাক্ত করা হয় বলে জানা যায়। তারপরেই তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
২. চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকায় প্রথম আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল।
৩. বিজ্ঞানীদের দাবি, করোনার টিকা সাধারণত ভাইরাসের মধ্যে থাকা স্পাইক প্রোটিনকে নষ্ট করার প্রচেষ্টা চালায়। ভারতের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন এই ভ্যারিয়েন্টের (JN.1) বিরুদ্ধেই কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৪. তবে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের (JN.1) ব্যতিক্রমী চরিত্রও আছে। তা হল, এটি স্পাইক প্রোটিনের মাধ্যমে মিউটেশন অর্থাৎ বংশবৃদ্ধি করে।
৫. জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃদু উপসর্গ দেখা যায়। এবং রোগীরা প্রায় কোনও চিকিৎসা ছাড়াই বাড়িতে নিজেরাই সুস্থ হয়ে উঠছেন।
৬. জ্বর, সর্দি, গলাব্যথা, মাথাব্যথা, এবং ছোটখাট গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলি এই সাব-ভ্যারিয়েন্টে (JN.1) আক্রান্তদের মধ্যে পাওয়া যায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।