বয়স্কদের পাশপাশি কমবয়সিরাও আর্থ্ররাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন! কেন জানেন?
প্রতীকী ছবি।
তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
হাতে-পায়ে যন্ত্রণাতেই ভোগান্তি আটকে নেই। কিছুক্ষণ একটানা হাঁটাচলা করলেই, এমনকি দাঁড়িয়ে থাকলেও হাঁটু, কোমরে মারাত্মক যন্ত্রণা হয়। স্বাভাবিক জীবন যাপনে ব্যাঘাত ঘটে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স্কদের পাশপাশি কমবয়সিরাও আর্থ্ররাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। আধুনিক জীবন যাপনের জেরে মানুষের শরীরে একাধিক ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এর জেরেই আর্থ্ররাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। আর আর্থ্ররাইটিস কেবল ব্যথা-যন্ত্রণার ভোগান্তি বাড়ায় না। এতে আক্রান্ত হলে একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। যেমন, হৃদরোগ, ত্বকের সমস্যা, চোখের শক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যায়। তাই আর্থ্ররাইটিস (Arthritis) নিয়ে সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি উপসর্গ আর্থ্ররাইটিসের লক্ষণ স্পষ্ট করে। প্রথমত, শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট যেমন হাঁটু, কোমরে লাগাতার যন্ত্রণা অনুভব হলে সতর্ক থাকা জরুরি। লাগাতার যন্ত্রণা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা দিচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নজরদারি রাখতে হবে। তাহলে আর্থ্ররাইটিসের প্রকোপ কমবে। বারবার পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। অনেকে কম বয়সিরাও রাস্তায় বা বাড়ির ভিতরে হঠাৎ পড়ে যান। বারবার পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে, বুঝতে হবে শরীরের ফিটনেসের সমস্যা রয়েছে। আর্থ্ররাইটিস (Arthritis) আক্রান্ত হলে শরীরের হাড় দুর্বল হয়। তখন শারীরিক কসরতের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নিয়মিত হাঁটাচলা করা, ব্যায়াম করার অভ্যাস রপ্ত করতে হবে। তবেই শারীরিক ফিটনেস বাড়বে। শরীরের ওজন মারাত্মক বেড়ে গেলে আর্থ্ররাইটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই মারাত্মক স্থূলতায় ভোগেন। স্থূলতা দেখা দিলে হাড়ের উপরে বাড়তি চাপ পড়ে। আর্থ্ররাইটিসের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের দিকে নজরদারি জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আর্থ্ররাইটিস আর প্রবীণ বয়সের রোগের সীমারেখায় আটকে নেই। এই রোগের দাপট তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে। ছোট থেকেই কয়েকটি বিষয়ে অভিভাবকেরা সচেতন হলে বড় বিপদ এড়ানো যাবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের শরীরে ভিটামিন ডি-র চাহিদা পূরণ জরুরি। খাবারে যাতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। তাই দরকার ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। যেমন ডিম, সমুদ্রের মাছ, ওলিভের মতো ফল নিয়মিত খাওয়া জরুরি।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড় মজবুত হলেই আর্থ্ররাইটিসের (Arthritis) ঝুঁকি কমবে। তাই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেতে হবে। তাই নিয়মিত ডিম ও দুধ, পনীর, ছানা, মুসুর, ছোলার মতো খাবার মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। এগুলো হাড় শক্ত করে।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীর সুস্থ থাকে। একদিকে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফিটনেস বাড়ে। ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। তাই নিয়মিত শিশুকে যোগাভ্যাসে অভ্যস্ত করলে আর্থ্ররাইটিসের মতো রোগের ঝুকি কমানো যায়।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।