Covid: বিশেষজ্ঞদের মতে অনেকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় বা জিনগত কারণেও তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা কমে যায়।
ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) অতিমারীর করালগ্রাসে যখন গোটা বিশ্ব হাসফাঁস করছে, যাচ্ছে একের পর এক প্রাণ, তখনও কিছু এমন মানুষকে আমরা সবাই চিনি যাঁদের করোনা স্পর্শ করতে পারেনি। অনেকেই তাঁদের ভাগ্যকে হিংসে করেছেন। অনেকেরই মনে হয়েছে তাঁদের কী কোনও অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা আছে? যখন ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত তখনও কী উপায়ে তারা মারণরোগের হাত থেকে পার পেয়ে গেলেন?
ব্রিটেনের ৬০% মানুষই এই রোগে একবার না একবার আক্রান্ত হয়েছিলেন। সূত্র মতে আসলে সেই সংখ্যা আরও বেশি। কিন্তু তা সত্বেও এমন অনেকেই আছেন যাঁদের কোভিড ১৯ (Covid-19) ছুঁতে পর্যন্ত পারেনি। এর কারণ কী?
অতিপ্রাকৃতিক শক্তি থাকার সম্ভাবনাকে প্রথমেই উড়িয়ে দেওয়া উচিত। এই ব্যক্তিদের সুস্থতার পেছনে দুটি বিষয় ছিল। বিজ্ঞান এবং ভাগ্য। প্রথম সম্ভাবনা হল, এনারা কখনও ভাইরাসের সংস্পর্শে আসননি। এটা একপ্রকার তাঁদের ভাগ্যই বলা যায়। আবার অনেকেই নিজেকে সুরক্ষিত রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। মহামারীকে আটকানোর সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করেছেন।
গবেষণায় জানা গিয়েছে, টিকা শুধু যে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কমায় তাই না, টিকা নেওয়ার ফলে সংক্রমণের ভয়ও অনেকটা কমে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে অনেকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (immunity) বেশি হওয়ায় বা জিনগত কারণেও তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
বয়স এবং জিনের ধরনের ওপর অনেকটাই নির্ভর করে, কে আক্রান্ত হবেন, আর কে আক্রান্ত হবেন না। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে দেয়। আমরা জানি, শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে এইরোগ খুব সহজেই আক্রমণ করতে পারে। ঘুম কম হওয়াও এই ক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার বড় কারণ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতক্ষণ স্থায়ী হবে তা নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। কারণ দেখা গিয়েছে যাঁরা করোনার প্রথম ঢেউ থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে পরিত্রাণ পাননি।
তাই আপনি যদি মনে করেন আপনার পাশের মানুষটি কেন বারবার নিষ্কৃতি পেয়ে যাচ্ছেন এই রোগ থেকে, সত্যিই কি কোনও অতিপ্রাকৃতিক শক্তি আছে তাঁর? তাহলে জেনে রাখুন 'রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা' নামক একটি শক্তি সত্যিই তাঁর আছে। অথবা কোভিডের বিরুদ্ধে বরাবর সমস্তরকম সাবধানতা অবলম্বন করে এসেছেন তিনি।