Pressure: সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ বেড়ে যায়! কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?
অতিরিক্ত কাজ করলে শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। সংগৃহীত চিত্র
তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
অফিস নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয়। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা মেপে শেষ হয় কি? বর্তমানে অধিকাংশ পেশাতেই বাড়ছে কাজের চাপ (Excess work)! বিশেষত বহুজাতিক সংস্থার কর্মীদের কাজের সময়সীমা নিয়ে অনেক সময়েই নানান বিতর্ক তৈরি হয়েছে! অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা কিংবা ভারত, সব দেশেই কর্মীরা কতক্ষণ কাজ করবেন, ছুটির পরেও অফিসকর্তার ফোন ধরবেন কিনা, শনিবার-রবিবার ছুটি পাবেন কিনা, এই সব নিয়ে নানান বিতর্ক চলছেই। আর এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক সাম্প্রতিক রিপোর্ট বিতর্ক আরও উস্কে দিয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ বেড়ে যায়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ে ১৭ শতাংশ। একই সঙ্গে বাড়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও। অর্থাৎ, প্রতিদিন সাত ঘণ্টার বেশি সময় একটানা কাজ করলে তা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর জেরে শরীরে স্ট্রেস বেড়ে যায় (Pressure)। এছাড়াও একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। এমনকী অতিরিক্ত কাজের চাপে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও কমতে থাকে।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত কাজ (Excess work) করলে শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। তার প্রধান কারণ হল স্ট্রেস। তাঁরা জানাচ্ছেন, একটানা কাজ করলে শরীর থেকে অতিরিক্ত স্ট্রেস হরমোন বের হয়। এর ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। দেহের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে রক্তচাপ বারবার ওঠানামা করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে রক্তবাহী শিরার কার্যক্ষমতা কমে। শরীরে ঠিকমতো রক্ত সরবরাহ হয় না। এর জেরেই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
কাজের চাপে অনেকেই নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে খাওয়ার সুযোগ পান না। যা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। আর এই কারণেই ডায়াবেটিস থেকে স্থূলতা, কোলেস্টেরলের মতো একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে স্নায়ুর উপরেও মারাত্মক চাপ (Pressure) পড়ে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে। একটানা স্নায়বিক চাপ নেওয়ার জেরে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ঠিকমতো বিশ্রাম না পেলেই তা গভীর প্রভাব ফেলে। মস্তিষ্ক ঠিকমতো কার্যশক্তি পায় না। ফলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে।
কর্মস্থলের জেরে যাতে স্বাস্থ্যহানি না হয়, সে নিয়ে সচেতনতা জরুরি। কর্মীরা সুস্থ থাকলে তবেই কাজ ঠিকমতো হবে, এই নিয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। দরকার প্রয়োজনীয় কর্মশালা, এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবার ও পেশাগত জীবনের মধ্যে ব্যালান্স হলে তবেই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। স্ট্রেস হরমোনের ভারসাম্য দেখা যাবে। যার ফলে সহজেই শরীরের একাধিক জটিল রোগ আটকানো সহজ হবে। পাশপাশি ঘুমের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। শরীর যাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায়, সেইভাবেই সারাদিনের রুটিন তৈরি করতে হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
Tags:
Madhyom
Fatigue
WHO
bangla news
Bengali news
madhyom bangla
World Health Organisation
High Blood Pressure
pressure
news in bengali
Excess work
Muscular tension
Headaches
Heart palpitations
Sleeping difficulties
Gastrointestinal issues
Cardiovascular problems
Back and neck pain
multinational organisations