শরীরে ক্লান্তি চলে এলে দৈনন্দিন রুটিনে এর প্রভাব পড়ে। তাই স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদী ক্লান্তি কাটাতে...
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক :মানুষের শরীরে যে কোনও সময় ক্লান্তি (Fatigue) আসতে পারে। একটানা কোনও একটি কাজ করার পর তাতে একঘেয়েমি চলে এলে শরীরে ক্লান্তিভাব চলে আসে। এছাড়া অনিদ্রা ও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলেও শরীরে ক্লান্তি দেখা যায়। ব্যায়াম করলে প্রায়শই ক্লান্তি আসে যদিও পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুমের মাধ্যমে এই ক্লান্তি কেটে যেতে পারে।
শরীরে ক্লান্তি চলে এলে দৈনন্দিন রুটিনে (Daily Routine) এর প্রভাব পড়ে। তাই স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদী ক্লান্তি কাটাতে খাবারের দিকটি লক্ষ্য রাখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, আয়রনের (Iron) ঘাটতি হলে শরীরে ক্লান্তি বাড়ে, অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্স খারাপ হয়ে যায়। শর্করা জাতীয় খাদ্যে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকায় এই জাতীয় খাবারে পুষ্টির পরিমাণ কম থাকে। শরীরে কার্যকারিতা বাড়াতে সুষম খাদ্যের প্রয়োজন। আয়রন সহ ম্যাগনেসিয়াম (Magnesium), জিঙ্ক (Zinc), ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি যুক্ত সুষম খাবার গ্রহণ করলে ক্লান্তি দূর হয়।
ক্লান্তি দূর করতে এবং শরীরকে উজ্জীবিত রাখার জন্য কিছু সহজ টিপস রয়েছে (Health Tips of beat Fatigue and keep body fit):
প্রোটিন যুক্ত খাবার (Protein Diet)- দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে প্রোটিন যুক্ত খাবার অবশ্যই রাখা প্রয়োজন। প্রোটিন (Protein) শরীরের স্ট্যামিনাকে ঠিক রাখে। প্রোটিন যুক্ত খাবার শরীরের পেশী গঠনে ও হাড়ের ক্ষয় মেরামতে সহায়তা করে। সেই কারণে খেলোয়াড়েরা প্রোটিন যুক্ত খাবার গ্রহণ করে থাকেন।
হাইড্রেটিংযুক্ত পানীয় (Hydrating Drinks)- শরীরে পাচন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে হাইড্রেটিংযুক্ত পানীয় গ্রহণ করতে হবে। লেবুজল, ফলের রস বা গরুর দুধের মতো পানীয় গ্রহণ করলে শরীরে ডিহাইড্রেশন (Dehydration) কমে। শরীরে ডিহাইড্রেশন ঘটলে ক্লান্তির বৃদ্ধি ঘটে এমনকি মানুষের চিন্তাশক্তি লোপ পায়। মহিলাদের উপর ডিহাইড্রেশনের প্রভাব সর্বাধিক।
আরও পড়ুন: কোন কোন খাবারের যুগলবন্দী শরীরে পুষ্টি শোষণ ক্ষমতা বাড়ায়? জেনে নিন
কফি খাওয়া কমাতে হবে (Reduce Coffee Intake)- কফি প্রেমীরা এই পরামর্শটি মানতে অবশ্যই নারাজ। সকলের একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে কফি খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়। কফি খেলে সাময়িকভাবে শরীরে উদ্দীপনা এলেও দীর্ঘস্থায়ী ক্ষেত্রে শরীরে ক্লান্তি ভাব দেখা যায়। কফি বেশি পান করলে অনিদ্রার মতো রোগ দেখা যায়। তাই এক কাপ কফি খেলে দুই কাপ জল খেতে হবে।
অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকতে হবে (Stay away from Alcohol)- অ্যালকোহল (Alcohol) শরীরে এনার্জির মাত্রা শেষ করে দিতে পারে। শরীরে ডিহাইড্রেশনের সৃষ্টি করে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। অ্যালকোহল শরীরে এপিনেফ্রিনের মাত্রারও বৃদ্ধি ঘটায় ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
সুষম আহার গ্রহণ (Balanced Food)- বাজারের ফাস্টফুড (Fast Food) থেকে দূরে থাকতে হবে। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ নিয়ে শরীরের প্রয়োজনীয় খাদ্যগ্রহণ করা উচিত।
সুষম ডায়েটের (Balanced Diet) পাশাপাশি শারীরিক কসরত করাও প্রয়োজন। স্থুলকায় ব্যক্তিদের দৈনিক ১০ মিনিট হাটাচলা করা প্রয়োজন।