বসন্ত নবরাত্রির শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে চলবে ৩০ মার্চ অবধি
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসন্ত নবরাত্রির শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে চলবে ৩০ মার্চ অবধি। ওই দিন রামনবমী, যা ভগবান রামের জন্মতিথি হিসাবে উদযাপিত হবে সারাদেশে। মা দুর্গার ভক্তরা এই সময়ে নয় দিন উপবাস (Navratri Fasting) করেন। উপবাসের দিনগুলিতে সতেজ ও তরতাজা থাকতে কী কী করবেন এবং কী কী করবেন না, সেবিষয়ে আলোচনা করবো আমরা।
১. শরীরকে পর্যাপ্ত সূর্যরশ্মি দিন
বিশেষজ্ঞদের মতে সূর্যরশ্মি এনার্জির পাশাপাশি ভিটামিন ডি-র উৎস। সূর্যের আলো আপনার মস্তিষ্কের সেরোটোনিন হরমোনের নিঃসরণকে বাড়াতে সাহায্য করবে। এরফলে মেজাজ ফুরফুরে থাকে।
২. পর্যাপ্ত ঘুম
পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম আপনাকে সবসময় তরতাজা রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই সময় অন্তত দিনে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো দরকার।
৩. কিছু প্রয়োজনীয় তেল ব্যবহার করুন
পুষ্টিবিদদের মতে, পেপারমিন্ট, সাইট্রাস ব্লেন্ড এবং রোজমেরির মতো তেল আপনার খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন এতে ক্লান্তিবোধ কম হবে।
৪. সঠিকভাবে পুষ্টি দিন শরীরকে
বিশেষজ্ঞদের মতে এই সময় শরীরের পর্যাপ্ত পুষ্টি পাওয়া ভীষণ দরকার
৫.হাইড্রেটেড থাকুন
ইলেক্ট্রোলাইট বাড়ায় এমন পানীয়গুলি উপবাসের (Navratri Fasting) সময় গ্রহণ করুন। এতে সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্লোরাইড এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদান থাকে। আবার এই সময় প্রচুর পরিমানে জল পান করতেও বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
৬: একটু আধটু হাঁটাচলা করুন
উপবাসের (Navratri Fasting) সময় আপনার শরীরে শক্তির অভাব হয়। তখন অনেকেই বসে বসে সময় কাটান স্মার্টফোন নিয়ে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন এইসময় একটু হাঁটাচলা করুন।
৭. বেশি করে হাসুন
বিশেষজ্ঞদের মতে একজন শিশু দিনে প্রায় গড়ে ৩০০ বারের বেশি হাসে। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্করা গড়ে মাত্র পাঁচবার হাসেন। গবেষণায় দেখা গেছে যে হাসি মেজাজ ভাল রাখে।
১. কার্বনেটেড জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন
সোডা জাতীয় পানীয় পেটে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে যখন খালি পেটে এগুলো খাওয়া হয়। এই পানীয়গুলিতে উচ্চ মাত্রার গ্যাস থাকে যা আপনার পেটে চাপ বাড়াতে পারে, তাই উপবাসের সময় এগুলিকে এড়িয়ে যেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
২. শর্করা জাতীয় জিনিস থেকে দূরে থাকুন
গুলাব জামুন, লাড্ডু, ক্ষীর এবং অন্যান্য মিষ্টান্নের থেকে এইসময় দূরে থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা।
৩. লবণাক্ত খাবার একদম গ্রহণ করবেন না
অত্যধিক পরিমাণে লবণ খাওয়া আপনার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে, তাই এগুলি এড়িয়ে চলতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Tags: