HMPV: ভারতে মেটানিউমোভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই, বলল কেন্দ্র
চিনে ছড়াচ্ছে নয়া ভাইরাস। ফাইল চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে ক্রমশ বাড়ছে নয়া ভাইরাসের দাপট। চিনের একাধিক হাসপাতালে থিক থিকে ভিড়। করোনার পর হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (HMPV)। শিশু ও বয়স্করাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এইচএমপি ভাইরাসে। চিনের এই ভাইরাসে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ভারতে। তবে ভারতে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনও কেস রিপোর্ট হয়নি বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
হেলথ সার্ভিসের ডিরেক্টর জেনারেল অতুল গোয়েল জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ভারতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট নথিভুক্ত হয়নি। এটি সাধারণ সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টজনিত রোগের মতোই। সাধারণ, শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। এই ভাইরাস নিয়ে এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও সতর্কবার্তাও নেই। তবে শ্বাসযন্ত্রের যে কোনও ধরনের সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন হেলথ সার্ভিসেসের ডিরেক্টর। অতুলের কথায়, ‘‘চিনে মেটানিউমোভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে খবর ঘুরছে। একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই। সর্দি-জ্বর ঘটায় এমন যে কোনও শ্বাসযন্ত্র আক্রমণকারী ভাইরাসের মতোই কাজ করে এইচএমপিভি। ছোট থেকে বয়স্ক, যে কেউ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে জ্বরে ভুগতে পারেন।’’
অতুল শ্বাসনালীর সব ধরনের সংক্রমণের নিয়েই সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এমনিতে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।’’ অতুল এ-ও জানিয়েছেন, গত ডিসেম্বর মাসে এ দেশের মানুষ জনের মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা বৃদ্ধি পায়নি। অন্তত পরিসংখ্যানে তেমনটা ধরা পড়েনি। দেশের কোনও হাসপাতালেই শ্বাসকষ্টের রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে বলে কোনও খবর মেলেনি। যদিও শীতকালে এই সমস্যা এমনিতেই বৃদ্ধি পায়। হাসপাতালগুলিও সেই মতো প্রস্তুত থাকে। তার পরেও বার বার মানুষজনকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অতুল। তিনি বলেন, ‘‘একটাই কথা সকলকে বলতে চাই যে, শ্বাসযন্ত্রের যে কোনও সংক্রমণ নিয়ে যে ভাবে সতর্ক হই, এ ক্ষেত্রেও তা-ই হতে হবে। তার অর্থ, কারও সর্দি বা কাশি হলে বহু মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করা উচিত নয়। এতে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।’’ হাঁচি, কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করারও পরামর্শ দিয়েছেন অতুল।
আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ১৭.৯ কোটি নতুন চাকরি, ইউপিএ আমলে ছিল ২.৯, বিরোধীদের তোপ মান্ডব্যর
মেটানিউমো ভাইরাস নতুন নয়, ২০০১ সালেও এর সন্ধান মিলেছিল। কিন্তু যেটা নতুন, তা হল সংক্রমণের হার। ১৪ বছরের নীচে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে, একইসঙ্গে বয়স্করাও। তবে তা হচ্ছে চিনে। এই ভাইরাসের হদিশও পাওয়া গিয়েছে চিনে। এই ভাইরাসের উপসর্গ অনেকটাই কোভিডের মতো। তবে ওতটা মারাত্মক না হলেও, চিকিৎসকরা সতর্ক থাকতে চাইছেন। এই ভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন এখনও আবিষ্কার হয়নি। চিকিৎসকদের কাছে সেটাই উদ্বেগের কারণ। এর উপসর্গ সর্দি-কাশি, নাক দিয়ে লাগাতর জল পড়া, অসম্ভব গলা ব্যথা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।