মূলত বন্য প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়েছে এই রোগ।
মাঙ্কি পক্স
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৭ মে যুক্তরাষ্ট্রে মাঙ্কি পক্সের (Monkey Pox) প্রথম কেসটি সামনে আসার পর থেকে দ্রুত ছড়িয়েছে এই রোগ। এই মুহূর্তে গোটা পৃথিবীতে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার। ইতিমধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ জন। দেশে আক্রান্ত হওয়া চতুর্থ ব্যক্তির কোনও বিদেশ সফরেরও ইতিহাস নেই। তাহলে কী এবার গোষ্ঠী সংক্রমণের পথে মাঙ্কি পক্স?
কী করে ছড়াচ্ছে এই রোগ?
মূলত বন্য প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়েছে এই রোগ। মানুষ এবং বাঁদর এই রোগের আদর্শ বাহক। পশ্চিম আফ্রিকা থেকে এই রোগ এসেছে। এটি বায়ুবাহিত রোগ নয়। কোনও ব্যক্তি এই রোগে আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে তাঁর আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। মূলত দুজনের মধ্যে দূরত্ব যদি ২ মিটারের কম হয়, তাহলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশি। লালার দ্বারা এই রোগ ছড়ায়। একজনের থেকে অপর জনের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা ৭%। এই রোগ চিকেন পক্স এবং স্মল পক্সের থেকে কম সংক্রামক। বাঁদর, কাঠবিড়ালির মতো প্রাণীদের সংস্পর্শে দীর্ঘ সময় থাকলে বা এইসব প্রাণীর মাংস খেলে এই রোগ ছড়াতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশে চতুর্থ মাঙ্কি পক্স আক্রান্তের হদিশ, এবার দিল্লিতে
কাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি?
পুরুষদের মধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা সবথেকে বেশি দেখা গিয়েছে।
পুরুষে-পুরুষে শারীরিক সম্পর্ক (STD) হলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশি। ইতিমধ্যেই LGBTQ কমিউনিটিকে সাবধান করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
শারীরিকভাবে আক্রান্ত মানুষরাও খুব সহজে আক্রান্ত হতে পারেন এই রোগে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী জরুরি পরিস্থিতি তৈরি করেছে মাঙ্কিপক্স, ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
শারীরিক সম্পর্কের কারণে ছড়াতে পারে এই রোগ?
হু-এর (WHO) আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এটি সরাসরি যৌনবাহিত সংক্রমণ নয়, তবে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গম করলে যে কেউ সংক্রমিত হতে পারেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাঙ্কি পক্স ৯৫ শতাংশ শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছে।
মাঙ্কি পক্স আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে কী করবেন?
৪ দিনের মধ্যে যদি স্মল পক্সের টিকা নেওয়া যায়, তাহলে সংক্রমণ আটকানো যেতে পারে। ১৪ দিনের মধ্যে টিকা নিলে রোগের উপসর্গ কমাতে সাহায্য হতে পারে। যারা শারীরিক ভাবে দুর্বল বা ৮ বছরের কম বয়সী শিশুরা বা যেই মায়েরা বাচ্চাকে স্তন পান করান, তাঁদের বিশেষভাবে সাবধান থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কী করে সংক্রমণ আটকাবেন?
আপনি যদি মনে করে আপনি এই রোগে আক্রান্ত তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তিন সপ্তাহের জন্যে নিজেকে আইসোলেটেড করে নিন। সাধারণত ৫-১৩ দিনেই সেরে যায় এই রোগ। কিন্তু বিশেষ ক্ষেত্রে ২১ দিন অবধি থাকতে পারে এই রোগের উপসর্গ।
Tags: