রাগে লাগাম টানতে পারছেন না? সমাধানের কী পথ?
প্রতীকী ছবি।
তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
আনন্দ, দুঃখের মতো রাগও মানুষের স্বাভাবিক এক অনুভূতি। কিন্তু অনেক সময়েই রাগ (Anger) সীমাহীন হয়ে যায়। এর ফলে মানুষ অনেক রকম বিপদের সম্মুখীন হন। বড় ক্ষতিও হয়ে যায়। অনেকেরই দিনের অধিকাংশ সময় মেজাজ খিটখিটে থাকে। অকারণেও রাগারাগি করেন। এতে আশপাশের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়। আবার নিজের স্বাস্থ্যের পক্ষেও এটা ক্ষতিকারক। তাই নিজের বা কাছের মানুষের অতিরিক্ত রাগ হলে সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
কেন অতিরিক্ত রাগের সমস্যা হতে পারে? (Anger)
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাগ, দুঃখ, আনন্দ সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ হয় হরমোনের দ্বারা। তাই কেউ অতিরিক্ত রাগ করলে কিংবা সব সময়েই খিটখিটে মেজাজ থাকলে, বুঝতে হবে দেহের হরমোনের ভারসাম্যের সমস্যা হচ্ছে। ঠিক তেমন, মহিলারা গর্ভবতী হলে কিংবা সদ্য মা হওয়ার পরে, অনেক সময়েই অকারণে রেগে যান। কারণ, তখন দেহের একাধিক হরমোন ঘটিত পরিবর্তন হয়। মনোরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মানসিক চাপ কিংবা অবসাদ থেকেও এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। তাছাড়া অবসাদগ্রস্থ হলেও অতিরিক্ত রাগ হতে পারে। তাই কেউ অতিরিক্ত রাগারাগি করলে এই ধরনের মানসিক সমস্যা আছে কিনা, সেদিকেও নজর রাখা জরুরি।
উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ কিংবা থাইরয়েডের মতো রোগে আক্রান্ত হলেও অতিরিক্ত রাগ (Anger) হতে পারে। কারণ এই ধরনের রোগে শরীরের একাধিক প্রতিক্রিয়া হয়।
কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে মেজাজ?
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সুস্থ জীবনযাপন জরুরি। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, যাদের অতিরিক্ত রাগের (Anger) সমস্যা রয়েছে, তাদের নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। তাই শরীর ক্লান্ত থাকে। যার প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতাতেও ব্যাঘাত ঘটে। ফলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই নিয়মিত অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি। নিয়মিত যোগাভ্যাস অত্যন্ত জরুরি বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যোগাভ্যাস শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর করে। পাশপাশি শক্তি সঞ্চয়ে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে রাগ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।
খাবারের ক্ষেত্রেও বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গোলাপের পাপড়ি, তুলসি পাতা মেশানো ভেষজ চা দিনে অন্তত একবার খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। এর জেরে রাগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার রাগ (Anger) নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাবারে ম্যাগনেশিয়াম থাকলেও রাগ সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই আখরোট, সবুজ সব্জি এবং মাছ নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।