কম ঘুমোলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা যেমন উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি, গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি, অ্যাবডোমিনাল ওবেসিটি ইত্যাদি দেখা যায়।
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুন্দর ছিপছিপে শরীর পেতে কে না চায়! মোটা হয়ে যাওয়ার থেকে বাঁচতে অনেকেই কত কিছুই না করে থাকে। কারণ প্রায় সবাই জানে, মোটা হওয়া মানেই শরীরে রোগের বাসা বাঁধা। যত বেশী মোটা তত বেশি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই সুস্থ থাকতে হলে রোগা হওয়া খুবই জরুরি। সেই মতো নিয়ম মেনে ডায়েট অনুযায়ী খাবার খাওয়া, ব্যায়াম সবই করছেন, কিন্তু তবুও রোগা হতে পারছেন না? তবে এই ভুলটা কি আপনিও করছেন?
অনেকেরই ধারণা বেশি ঘুমোলেই মোটা হয়ে যায় ও ওবেসিটি দেখা যায়। তবে এখানেই আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলেই বাড়তে পারে ওজন। এমনকি ওবেসিটির মূল কারণের মধ্যে একটি হতে পারে অপর্যাপ্ত ঘুম।
ওবেসিটিকে বাংলায় বলে অতিস্থূলতা। শরীরে অতিরিক্ত মেদ বা চর্বিজাতীয় পদার্থ জমা হলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। এর ফলে শরীরে ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে ভারতে প্রায় ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ এই অবস্থার শিকার। বিশ্বে স্থূলতা-ই মৃত্যুর অন্যতম কারণ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। মাঝবয়সীদের মধ্যেও এর প্রভাব বেড়ে গিয়েছে ও ফলে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। বর্তমানে শিশুদের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে, যা অত্যন্ত চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে চান? ভুল করেও এই ৫টি কাজ কখনই করবেন না
গবেষণা করে দেখা গিয়েছে যারা আট ঘন্টার কম ঘুমোন তাঁদের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা যেমন উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি, গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি অ্যাবডোমিনাল ওবেসিটি ইত্যাদি দেখা যায়।
গবেষণা করা হয় ১২ ও ১৪ বছরের ছেলেমেয়েদের মধ্যে। দেখা গিয়েছে যারা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমিয়েছেন তাদের কোনও ওজন বৃদ্ধি হয়নি। আর যারা অপর্যাপ্ত ঘুমিয়েছন তাদের প্রায় ১৯ থেকে ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
ফলে জীবনধারার পরিবর্তন, ডায়েটে পুষ্টিকর খাবার রাখার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমও শরীরের পক্ষে জরুরী। সাধারণত বলা হয় দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরী।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।