এই ওষুধগুলির মধ্যে বেশির ভাগই কেন্দ্রের ওষুধ নিয়ামক সংস্থার দ্বারা অনুমোদিত নয়। গবেষকরা ভারতের কাছে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট নীতি আনার জন্য আবেদন জানিয়েছেন গবেষকরা
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি বা পেটের গণ্ডগোল চাই চটজলদি নিরাময়। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। বাচ্চার স্কুলে পরীক্ষা তাই তার শরীর খারপ হলে বেশিদিন স্কুলে ছুটি হয়ে যাবে। নিজের শরীর খারাপ হলে অফিসে ছুটি নিতে হবে। তাই দ্রুত নিরাময়ের হাতিয়ার অ্যান্টিবায়োটিক। ছোটখাটো সমস্যায় চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সময় নেই। নিজের জানা একটি অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স করলেই চট করে রোগ সেরে যাবে। এই ধারণা নিয়ে চলেন বশিরভাগ ভারতীয়ই।
আরও পড়ুন: অগাস্টের বেতন হয়নি পাঞ্জাবে, বাংলারও কি একই হাঁড়ির হাল?
সম্প্রতি ল্যানসেটের একটি সমীক্ষার ফল বলছে, নিজেদের ইচ্ছেমতো সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন ভারতীয়রাই। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে কোভিডের আগে এবং কোভিড চলাকালীন ভারতীদের মধ্যে অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। এই ওষুধগুলির মধ্যে বেশির ভাগই কেন্দ্রের ওষুধ নিয়ামক সংস্থার দ্বারা অনুমোদিত নয়। গবেষকরা ভারতের কাছে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট নীতি আনার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। প্রয়োজনে নিয়মকানুনের সংস্কারমূলক আইন আনা জরুরি বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রয়োজন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ কাম্য নয়। উপযুক্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। ল্যানসেটের সমীক্ষা মতে, ভারতীয়দর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে অ্যাজিথ্রোমাইসিন ৫০০ খাওয়ার চল সবচেয়ে বেশি। আর তার পরেই সেফিক্সাইম ২০০ নামক ওষুধটির উপর নির্ভর করে ভারতীয়রা। কিছু অসুখের চিকিৎসা করতে গেলে ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স পরীক্ষা করতে হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে বাতিল অ্যান্টিবায়োটিকের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অ্যান্টিবায়োটিক বেশি খেলে শরীরে তৈরি হয়, ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ বা ‘অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল রেজিস্ট্যান্স’ (এএমআর)। আগামী দিনে তা বিপদ ডেকে আনে। পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আর ওই অ্যান্টিবায়োটিক কাজে লাগে না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।