‘কী হয়, কী হয়’ ভাব এঁদের নিত্য সঙ্গী...
একাকিত্ব। প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে সময়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে পৃথিবীও। এক সময় কাজ করত মানুষ। এখন কাজ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI Systems)। আর এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা ডুবে যাচ্ছেন একাকিত্বের অতল গহ্বরে। যার জেরে অফিস থেকে ফিরেও ক্লান্ত শরীরে বিছানা নিলেও, কাটাতে হচ্ছে বিনিদ্র রাত। এই একাকিত্ব কাটাতে এই সব কর্মীদের একটা বড় অংশ কাজ শেষে মদ্যপানেও মেতে উঠছেন। যার ছাপ পড়ছে শরীরে। সম্প্রতি আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোশিয়েসনের একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষকরা চার দেশে সমীক্ষা করেছিলেন। এই চারটি দেশ হল, আমেরিকা, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া। অনলাইন জার্নাল অফ অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজিতে প্রকাশিত হয়েছে তাঁদের ওই গবেষণাপত্রটি।
গবেষকদের প্রধান যিনি, তিনি পক মান টাং। চাকরি করতেন একটি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কে। ব্যবহার করতেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI Systems)। মূলত তাঁর উদ্যোগেই শুরু হয় গবেষণা। ট্যাং বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে অনেক কাজই হয়ে গিয়েছে অনায়াস। তবে এর বিপদও রয়েছে। এটি কর্মীদের মানসিক এবং শারীরিক ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।” ইউনিভার্সিটি অফ জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সহকারি অধ্যাপক বলেন, “মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করলে তার ছাপ কর্মীর ব্যক্তিগত জীবনে পড়তে পারে।”
গবেষকরা দেখেছেন, যাঁদের ওপর সমীক্ষা করা হয়েছে, তাঁরা উদ্বেগে ভুগছেন। অনুভব করছেন নিরাপত্তাহীনতা। সামাজিক যোগাযোগ সম্পর্কেও বেশ উদ্বিগ্ন। একাকিত্ব গ্রাস করছে তাঁদের। তাঁরা ভুগছেন নিদ্রাহীনতায়। তাইওয়ানের একটি বায়োমেডিক্যাল কোম্পানিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI Systems) নিয়ে কাজ করেন এমন ১৬৬ জন ইঞ্জিনিয়রের ওপরও সমীক্ষা করা হয়েছিল টানা তিন সপ্তাহ ধরে। দেখা গিয়েছে, এঁদের প্রত্যেককেই গ্রাস করেছে একাকিত্ব।
আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরের আগে মার্কিন রেস্তোরাঁয় চালু ‘মোদিজি থালি’
‘কী হয়, কী হয়’ ভাব এঁদের নিত্য সঙ্গী। এঁদের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, এঁরা নিদ্রাহীনতায় ভোগেন। কাজের শেষে নিত্য পান করে মদ। একই ছবি উঠে এসেছে ইন্দোনেশিয়ার ১২৬ জন রিয়েল এস্টেট কনসালটেন্টের ওপর সমীক্ষা চালিয়েও। টাং বলেন, “যত দিন যাবে ততই বাড়বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার। তাই যাঁরা তা নিয়ে কাজ করবেন, তাঁদের এর বিপজ্জনক দিক সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।