দেদার বাজির দাপটে বাতাসে ধোঁয়ার পরিমাণও বাড়বে, কোন বিপদের হাতছানি?
প্রতীকী ছবি।
তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
আবহাওয়ার বদল হচ্ছে। দিনের শেষে কমছে তাপমাত্রার পারদ। বছরের এই সময়ে বাতাসে বাড়ে ধুলোকণার পরিমাণ। তার সঙ্গে চলছে দীপাবলির উদযাপন। তাই দেদার বাজির দাপট। বাতাসে ধোঁয়ার পরিমাণও বাড়ছে (Pollution)। আর সব মিলিয়ে বিপদ বাড়ছে ফুসফুসের! বঙ্গবাসীর ফুসফুসের অসুখ নিয়ে তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল।
কোন ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল?
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পরিবর্তনের জেরে বছরের এই সময়ে অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভোগেন। ভাইরাসঘটিত সংক্রমণ থেকেই ফুসফুসের সমস্যা দেখা দেয়। শীতের শুরুতে তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তনে বাতাসে ধুলোকণার পরিমাণ বেড়ে যায়। এর জেরে ফুসফুসের অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। এ বছরেও দেখা গিয়েছে, অসংখ্য মানুষ ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছেন। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি দেখা গিয়েছে। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকেই কলকাতা ও আশপাশের এলাকার বহু সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ফুসফুসের সংক্রমণের রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে শয্যাসঙ্কটও দেখা গিয়েছিল। আক্রান্ত শিশুদের ভোগান্তি বেড়েছিল।
দীপাবলির উদযাপনে বাজির দাপটে সেই ভোগান্তি আরও কয়েকগুণ বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, আলোর বাজি হোক কিংবা শব্দবাজি, পরিবেশ বান্ধব না হলেই ফুসফুসের বিপদ। বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছেন, আলোর বাজি পোড়ালেই এক ধরনের সাদা ধোঁয়া দেখা যায় (Pollution)। বিশেষত তুবড়ি, রংমশালের মতো বাজিতে মারাত্মক ধোঁয়া দেখা দেয়। আর এতে সীসা, লোহার মতো নানা রাসায়নিক পদার্থ পোড়ার ধোঁয়া মিশে যায়। ফলে, বাতাসের দূষণ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। শব্দবাজিও দূষণের প্রকোপ বাড়ায় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। শব্দের দাপটের পাশাপাশি, শব্দ বাজি থেকে এক ধরনের ধোঁয়া বের হয়, যা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। তাই বিপদ তৈরি হয়।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই দূষিত বাতাসের (Pollution) সবচেয়ে বেশি কুপ্রভাব পড়ে ফুসফুসের উপরে। এর জেরে অ্যাস্থেমা, হাপানি সহ একাধিক শ্বাসকষ্টজনিত অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কাশির সমস্যা দেখা দিতে পারে। অক্সিজেনের অভাবে নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ফুসফুসের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি?
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ফুসফুসের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এমনকি এই সময়ে দূষিত বাতাসের (Pollution) জেরে শিশুদের হাঁপানির মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও দেখা দিতে পারে। তবে, যাদের শ্বাসকষ্টজনিত কোনও সমস্যা আছে, এই সময়ে তাদের বাড়তি সতর্কতা দরকার। কারণ, এই সময়ে তাদের সমস্যা বাড়তে পারে। পাশপাশি পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠার আশঙ্কাও থাকছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।