গর্ভাবস্থায় মর্নিং সিকনেস কেন হয়? কীভাবে মোকাবিলা হবে এই সমস্যার?
প্রতীকী চিত্র।
তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
ঘুম থেকে উঠলেই বমি, খাওয়ার ইচ্ছে না থাকা, মাথার ভিতরে অস্বস্তি আর শরীরে এক ধরনের অস্থিরতা, গর্ভাবস্থায় (Pregnancy) এমন অসুবিধা অনেকের হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই এই ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। চিকিৎসকেরা এই সমস্যাকে মর্নিং সিকনেস বলেন। কিন্তু স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রথম থেকেই এই সমস্যায় নজর না দিলে বাড়তে পারে জটিলতা।
কেন হয় মর্নিং সিকনেস? (Pregnancy)
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মর্নিং সিকনেস হওয়ার নির্দিষ্ট একটি কারণ হয় না। তবে, একাধিক কারণে গর্ভবতীদের (Pregnancy) এই সমস্যা হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় দেহে হরমোনের ভারসাম্যে পরিবর্তন হয়। আর তার জেরেই এই মর্নিং সিকনেস হয়। এছাড়া গর্ভাবস্থায় রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করে, তার জেরেও মর্নিং সিকনেস হয়। পাশপাশি গর্ভাবস্থায় এক ধরনের মানসিক উত্তেজনা কাজ করে। তার জেরে এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। তবে, লাগাতার যাদের এই সমস্যা হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসের জেরেই অসুবিধা বাড়ে।
কীভাবে মোকাবিলা হবে এই সমস্যার? (Pregnancy)
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাদ্যাভ্যাসে বদল কিছুটা মর্নিং সিকনেস কমাতে সাহায্য করে। তাই তাঁদের পরামর্শ, সকালে তেলেভাজা কিংবা অতিরিক্ত মশলা দিয়ে তৈরি খাবার জলখাবারের মেনুতে এড়িয়ে চলতে হবে। গর্ভাবস্থায় খাবারের চাহিদা বাড়ে। সেই অনুযায়ী, দিনে একাধিকবার খাওয়া জরুরি। তাই একসঙ্গে অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়ার পরিবর্তে, কয়েক ঘণ্টা অন্তর অল্প পরিমাণে খাওয়া দরকার। তাতে হজমের অসুবিধা হবে না। আর মর্নিং সিকনেস (Pregnancy) কমবে। তবে, জলখাবারে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন আর আয়রন সমৃদ্ধ খাবার থাকা জরুরি। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থায় বাড়তি আয়রন আর প্রোটিনের জোগান জরুরি। তাই জলখাবার পুষ্টিকর হওয়ার দরকার। কারণ, সেটা দিনের প্রথম খাবার। তাই ডিম, রুটি, সোয়াবিন, মাছ, দুধ জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। অনেকেই শুধু স্বাদের জন্য নানান চটজলদি আর ভাজা খাবার খায়। কিন্তু বমির সমস্যা কমাতে এই ধরনের খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলা প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
মর্নিং সিকনেস কি গর্ভস্থ শিশুর বিপদ বাড়ায়?
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মর্নিং সিকনেস গর্ভস্থ শিশুর জন্য (Pregnancy) বিপজ্জনক নয়। কিন্তু মর্নিং সিকনেসের জন্য যদি খাবারে দীর্ঘ সময়ের ব্যবধান হয়, তাহলে সেটা বিপজ্জনক। অনেকেই বমি হওয়ার জেরে সকালে ঠিকমতো খেতে পারেন না। আর খাবার খাওয়ার দীর্ঘ ব্যবধান গর্ভস্থ শিশুর জন্য ক্ষতিকারক। তার গঠনে সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই মর্নিং সিকনেস বাড়লে, দ্রুত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।