Dental Health: প্রাচীন ভারতে ব্যবহৃত হত রাসায়নিক মুক্ত ও পরিবেশ বান্ধব নিম দাঁতন
নিম দাঁতন (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গেই মানব সমাজ তার পুরনো অভ্যাসের দিকেই ফিরে চলেছে। কারণ এই অভ্যাসগুলি সম্পূর্ণটাই প্রাকৃতিক এবং বিশুদ্ধ উপাদানে পরিপূর্ণ। সেই রকমই একটি অভ্যাস হল নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজা (Neem Stick)। প্রাচীন ভারতে নিম দাঁতন (Dental Health) দিয়ে দাঁত মাজার চল ছিল। বর্তমান আমলে তা আবার ফিরে আসছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিম গাছ দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং ভারতে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়েছে। স্থানীয়ভাবে নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজার রীতিকে বলা হয় নিম দাঁতন।
নিম দাঁতন করার অন্যতম উপকারিতা হল যে এটি সম্পূর্ণভাবে রাসায়নিক মুক্ত এবং পরিবেশবান্ধব। এর পাশাপাশি প্লাস্টিকের যে টুথব্রাশ আমরা ব্যবহার করি তার বিকল্প হিসেবেও কাজ করে নিম দাঁতন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে নিম হল অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল। এই কারণে নিম দাঁতন যে কোনও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণও প্রতিরোধ করে। এছাড়া নিমের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান, যা মাড়িকে শক্ত করে বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ক্যাভিটিস প্রতিরোধ: নিম দাঁতন দিয়ে দাঁত মাজলে, তা ক্যাভিটিস প্রতিরোধ করে।
মাড়ি মজবুত: বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে প্রতিদিন নিম দাঁতন দিয়ে দাঁত মাজলে মাড়ি মজবুত হয় এবং মাড়িতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।
মুখে দুর্গন্ধ আনতে দেয় না: নিমের প্রাকৃতিক উপাদানে এর পাশাপাশি মুখে দুর্গন্ধ আনতে দেয় না।
এছাড়াও দাঁতের সাদা রং অপরিবর্তিত রাখে, দাঁতের যে কোনও অংশ ফুলে ওঠা রোধ করতে নিম দাঁতন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
প্রথমেই ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ একটি নিম দাঁতন নিতে হবে, ঠিক পেন্সিলের আকারের।
এরপরে তার যে কোনও একটি প্রান্ত চিবিয়ে নিতে হবে।
এটা যখন ব্রাশের আকৃতির হয়ে যাবে, তখন ধীরে ধীরে দাঁত পরিষ্কার করতে হবে।
মাউথফ্রেশনার-সহ নানা ধরনের কৃত্রিম উপায়ে সাময়িক কিছু উপকার হলেও,তা কখনওই দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হতে পারে না। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য নিম ডাল খুবই উপযোগী, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
নিমডাল ব্যবহারের আগে খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
গাছের ডালকে অবশ্যই ভালো করে ভেঙে ব্যবহার করতে হবে।
নিমডালে দাঁত মাজার আগে সরিষার তেল ও লবণ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা বাঞ্ছনীয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।