আসুন ওজন কমানোর জন্য এই নেগেটিভ-ক্যালোরির খাবারগুলির বিষয়ে জানি
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়তি ওজন আজ অনেকের কাছেই ভয়ঙ্কর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতিকায় শরীর নিয়ে কোনও সুখ নেই! স্লিম হওয়ার জন্য তাই নানা রকমের উপায় অবলম্বনের চেষ্টা করেন প্রত্যেকেই। ছোটা, হাঁটা, ঘাম ঝড়ানো, সাইক্লিং, সাঁতার কাটা এসব তো আছেই। তার সঙ্গে চলে খাবার এড়িয়ে যাওয়া। পুষ্টিবিদরা বলছেন, খাবার এড়িয়ে গিয়ে বাড়তি ওজন কমানো সম্ভব নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
ওজন কমানোর জন্য, সাধারণত ব্যায়ামের মাধ্যমে বেশি ক্যালোরি খরচ করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ওজন কমানোর পদ্ধতিতে বেশ কিছু খাবার জনপ্রিয়, সেগুলিকে নেগেটিভ-ক্যালোরি (Negative Calorie) বলা হয়, অর্থাৎ এগুলিকে খাওয়ার ফলে আপনি ক্যালোরি খরচ করতে পারেন। প্রতিদিনের ডায়েটে যদি এই খাবারগুলিকে রাখেন এবং শারীরিক অনুশীলন করে তাহলে আপনার ওজন কমতে বাধ্য। এমনটাই বলছেন পুষ্টিবিদরা।
১. বেরি জাতীয় ফল
ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি এবং রাস্পবেরি এই জাতীয় বেরিতে সাধারণত ক্যালরির পরিমান হয় ৩২। কম গ্লাইসেমিক সূচক এবং উচ্চ প্রোটিন থাকার কারণে, এগুলিকে নেগেটিভ-ক্যালোরি খাবার হিসাবে উল্লেখ করা হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও ভরপুর মাত্রায় থাকে এই ফলগুলিতে।
২. মাশরুম
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক কাপ মাশরুমে মাত্র ১৫ ক্যালোরি থাকে। এগুলি ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ, এগুলিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-বি থাকে, যা এনার্জি লেভেল বাড়ায়।
৩. গাজর
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১০০ গ্রাম গাজরে প্রায় ৪১ ক্যালোরি থাকে। এছাড়াও, গাজরে খুব কম কোলেস্টেরল এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গাজর খুবই উপকারী। এতে পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কেও রয়েছে বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।
৪. শসা
বিশেষজ্ঞদের মতে শসায় প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। শসা হল হাইড্রেশনের ব্যাপক উৎস। ডায়াবেটিস রোগীদের এবং ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কাছে এটি মহৌষধ। ১০০ গ্রাম শসাতে মাত্র ১৫ ক্যালোরি থাকে।
৫. টমেটো
বিশেষজ্ঞরা বলছেন ১০০ গ্রাম টমেটোতে ক্যালোরির পরিমাণ ১৯। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি পটাসিয়াম, ভিটামিন সি এবং পুষ্টিকর ফাইবারের একটি ভাল উৎস। টমেটো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে।
৬. ব্রকলি
প্রতি ১০০ গ্রাম ব্রকলিতে ক্যালরির পরিমান ৩৪। ব্রকলিতে পাওয়া যায় ফলিক অ্যাসিড এবং আয়রন যা অ্যানিমিয়াকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৭. আপেল
বিশেষজ্ঞরা বলছেন আপেলে ফাইবারের পরিমান বেশি থাকে। আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পেকটিন থাকে, এটি একধরনের দ্রবণীয় ফাইবার যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
DISCLAIMER: এই লেখাটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
Tags: