Covid Among Children: আগের তিনবার দেখা গিয়েছে, শিশুরা সংক্রামিত হলেও তারা খুব একটা অসুস্থ হয়ে পড়েনি। সাধারণ সর্দি-কাশি-জ্বরের মতোই উপসর্গ থাকবে তাদের।
শিশুদের মধ্যে কোভিড সচেতনতা
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে করোনা (Covid-19) সংক্রমণের গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমূখী। রাজধানী দিল্লিতে (Delhi) প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। করোনার চতুর্থ ঢেউ (Covid 4th Wave) কী এসে গেল? ঘুরছে প্রশ্ন।
দীর্ঘ দু'বছর স্কুল বন্ধ থাকার পর সবে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে পঠন-পাঠন। এর মধ্যে স্কুল বন্ধ হলে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি হবে বলেই মনে করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে অভিভাবকরা। কিন্তু স্কুল খোলা থাকলে কী শিশুদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাবে না? ইতিউতি ঘুরছে সেই প্রশ্নও।
তবে দেশে করোনার প্রকোপ বাড়লেও এখনই শিশুদের নিয়ে কোনও উদ্বেগের কারণ নেই বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের বক্তব্য, স্কুল খোলা থাকলেই চতুর্থ ঢেউয়ে করোনা এসে বেছে বেছে শিশুদের আক্রমণ করবে, এমন ভাবনার কোনও বিজ্ঞান-ভিত্তি নেই। এ নিয়ে মুখ খুলেছেন AIIMS -এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া (Randeep Guleria)। তবে সতর্কতায় যাতে একচুল খামতি না-থাকে, সে কথাও পইপই করে মনে করিয়ে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকদের বক্তব্য, মিউটেশনের ফলে করোনা কী রূপ নেবে, সে সম্পর্কে এখনও তেমন ধারণা নেই কারও। অতএব, শিশুদের উপরে তা কতটা কামড় বসাবে, তা নিয়ে আগাম কিছু বলা অসম্ভব। AIIMS-র ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, "আমার মনে হয় না, ভবিষ্যতে শিশুরা সঙ্কটজনক ভাবে সংক্রামিত হবে। এখনও পর্যন্ত এমন কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই যেখানে বলা হচ্ছে শিশুরা বেশি সংক্রামিত হবে। আগের তিনবার দেখা গিয়েছে, শিশুরা সংক্রামিত হলেও তারা খুব একটা অসুস্থ হয়ে পড়েনি। সাধারণ সর্দি-কাশি জ্বরের মতোই উপসর্গ থাকবে তাদের। সাধারণ ভাইরাল ইনফেকশনের মতোই কিছু ওষুধ এবং প্রচুর পরিমাণে জল বা ফলের রস খেলেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যাবে তারা। পৃথিবীর যে সব প্রান্তে নতুন করে করোনার ঢেউ আছড়ে পড়তে শুরু করেছে, সেখানেও শিশুদের মধ্যে এর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা সেভাবে দেখা যায়নি।"
তবে শিশুদের যদি কো-মর্বিডিটি থাকে, তা হলে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে চিন্তার কিছুটা কারণ থাকতে পারে। গুলেরিয়া জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত যে শিশুরা কোভিড-আক্রান্ত হয়েছে, তাদের ৬০-৭০ শতাংশেরই কো-মর্বিডিটি (co-morbidity) রয়েছে। তাই অকারণে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। এর সঙ্গেই তাঁর হুঁশিয়ারি, শিশুদের টিকা (child vaccination) হয়নি, এটা অবশ্যই একটি বিষয়। সে ক্ষেত্রে বাড়ির লোকেরা সতর্ক থাকুন। যে সব বাচ্চাদের টিকা দেওয়ার সময় এসেছে তাদের টিকাকরণ জরুরি।