করেনার পর মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সরকার একটি কেন্দ্রীয় স্তরে জাতীয় মেন্টাল হেল্থ প্রোগ্রাম শুরু করার কথাও ঘোষণা করেছে।
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিমারির সময়ে দেশের বেশিরভাগ মানুষকে অনেকটা সময় বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়েছে। ঘরবন্দি থাকতে হয়েছে, বেড়াতে যাওয়া শিকেয় উঠেছে, সব মিলিয়ে একেবারে প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার পরিস্থিতি। সেই অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে দ্রুত। ঘিরে ধরেছে অবসাদ। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন পেশায় আর্থিক সমস্যা তৈরি হয়েছে, তাতে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন, পেশায় টান পড়েছে। সেই কারণেই অবসাদে ভুগছেন অনেকেই। করোনা মহামারির কারণে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, হতাশা, একাকীত্বের মতো মানসিক সমস্যার একাধিক ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। সেলিব্রিটি থেকে আমজনতা, এই ব্যাধির বিস্তার সর্বত্র। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির ঘটনা বেড়েছে বহুল পরিমানে।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা অনেক বেশি। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে মানুষ একাকীত্বের শিকার হয়েছে, যার ফলে সে সম্মুখীন হয়েছে হতাশা, দুশ্চিন্তার মতো মানসিক সমস্যার। তবে দেখা যায়, যেসব ব্যক্তিদের সামাজিক যোগাযোগের বেষ্টনী সংকীর্ণ, তাঁদের উপর মানসিক স্বাস্থ্যর ক্ষতিকর প্রভাব বিশেষ কোনও পরিবর্তন আনতে পারেনি।
আরও পড়ুন: বর্ষাকালে রোগমুক্ত থাকবেন কীভাবে? রইল কিছু উপায়
এই সমস্যা সমাজে গভীর প্রভাব ফেললেও সারাজীবনের জন্য তা মানতে নারাজ মনোবিদরা। তাঁদের মতে, মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা শারীরিক কার্যক্ষমতার উপর দীর্ঘতর প্রভাব ফেলতে পারে, তাই এর নিরাময় সম্ভব। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অনুকূল হলেই এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। এছাড়াও স্বাভাবিক জীবনযাপন করার বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির নিজস্ব আগ্রহ এবং অদম্য ইচ্ছে থাকা প্রয়োজন। তবেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
এই গোটা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেই কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২২-এ (Union Budget 2022) বিশেষ মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলি-চিকিৎসা পরিষেবার (National tele-mental health programme) কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Union Finance Minister Nirmala Sitharaman)। সরকারের মতে, সব বয়সের মানুষের মধ্যেই অতিমারি এক প্রবল প্রভাব তৈরি করেছে। তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রেই সঠিক মানসিক চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে কেন্দ্রীয় সরকার একটি কেন্দ্রীয় স্তরে জাতীয় মেন্টাল হেল্থ প্রোগ্রাম শুরু করার কথাও ঘোষণা করেছে।