চিংড়ি মাছের উপকারিতা জানেন? কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?
প্রতীকী ছবি।
তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
খাদ্য রসিকদের অনেকেরই পছন্দের পদ! তবুও জলের পোকা বলে বদনাম তার আছেই! চিংড়ি (Prawns) নিয়ে তাই নানা লোকের নানা মত! অনেকেই মনে করেন, চিংড়ি খেলেই পেটের সমস্যা হতে পারে। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, চিংড়ির উপকার একাধিক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একাধিক শারীরিক সমস্যা চিংড়ি খেলে সহজেই মোকাবিলা করা যায়। অ্যালার্জির সমস্যা না থাকলে, চিংড়ির পুষ্টিগুণ শরীরের জন্য খুবই উপকারী। দেখা যাক, কোন ধরনের শারীরিক সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে চিংড়ি?
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিংড়ি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। তাই চিংড়ি খেলে দেহের প্রোটিনের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়। দেহের ৪২ শতাংশ প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম চিংড়ি। দেহে প্রোটিনের চাহিদা ঠিকমতো সহজে পূরণ হলে একাধিক শারীরিক সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। বিশেষত পেশির সমস্যা সহজেই কমানো যায়। প্রোটিনের ঘাটতি থেকেই পেশিতে ব্যথা ও দুর্বলতা তৈরি হয়। চিংড়ি (Prawns) প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করায় সহজেই পেশির সমস্যা কমে।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিংড়িতে (Prawns) রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস এবং আয়োডিন। এই দুই উপাদান মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। আয়োডিন স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। তাই কম বয়সি থেকে বয়স্ক, অনেকেই এখন স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যায় ভুগছেন। চিংড়ি খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়বে। ফলে স্মৃতিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যাও কমবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিংড়ি মাছে ক্যালসিয়াম, ওমেগা থ্রি এবং ফ্যাটি অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে আছে। এই উপাদানগুলো হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী। দেশজুড়ে মহিলাদের হাড় ক্ষয়ের সমস্যা বাড়ছে। তাই চিংড়ি মাছ খেলে হাড় মজবুত হবে। হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি কমবে। এমনই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিংড়ি মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২, মিনারেল। এই উপাদানগুলো শরীরে রক্তের ঘাটতি পূরণ করে। ফলে রক্তাল্পতার সমস্যা দূর হয়।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।