img

Follow us on

Wednesday, Jan 15, 2025

Saline Incident: স্যালাইনের দোসর অক্সিটোসিন! রাজ্যে প্রসূতি মৃত্যু ঘটাচ্ছে ব্যাপক হারে, কেন চুপ সরকার?

Health in Bengal: বিষাক্ত স্যালাইন, অক্সিটোসিনের মানও খারাপ! রাজ্যে প্রসূতি মৃত্যু নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন...

img

প্রসূতি মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। ফাইল চিত্র

  2025-01-15 10:26:22

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু স্য়ালাইন (Saline Incident) নয়, দোসর অক্সিটোসিনও। রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির অবস্থা যে কতটা শোচনীয় তা ফের একবার প্রমাণ করেছে মেদিনীপুরে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা। এই ছবি, রাজ্যের আরও বেশ কিছু মেডিক্যাল কলেজেরও বলে দাবি চিকিৎসকদের একাংশের। বিষাক্ত স্যালাইনে তিন প্রসূতির অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। সংক্রমণের কারণে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধছে না। ঠিক মতো কাজ করছে না ফুসফুস-কিডনিও। এসএসকেএম হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে রয়েছেন নাসরিন খাতুন ও মাম্পি সিং। প্রসূতিদের এই পরিস্থিতির জন্য এবার দায়ী করা হল অক্সিটোসিনকে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ভবনে সাড়ে পাঁচ পাতার রিপোর্ট জমা পড়েছে। 

অক্সিটোসিন কী?

প্রসবের সময় তীব্র রক্তক্ষরণ হয়। সেই রক্তক্ষরণে বন্ধ করে অক্সিটোসিন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে অনেক প্রসূতির মৃত্যু পর্যন্ত হয়। সেই মৃত্যু রোধ করতেই দেওয়া হয়ে থাকে অক্সিটোসিন।

কীভাবে দায়ী অক্সিটোসিন

স্বাস্থ্য ভবনের তৈরি করে দেওয়া তদন্ত বোর্ডের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হচ্ছিল রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইনের কারণে মেদিনীপুর মেডিক্যালে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক সেই কারণেই। কিন্তু ফাইনাল রিপোর্ট জমা পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়াল। শুধু বিষাক্ত স্যালাইন নয় দোসর অক্সিটোসিনও। এই অক্সিটোসিনের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলেই প্রসূতিদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ওই সাড়ে পাঁচ পাতার রিপোর্টে এও নাকি বলা হচ্ছে যে, কোনও প্রোটোকল না মেনেই পাঁচ রোগীকে অক্সিটোসিনের হাই ডোজ দেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত ১০ ইউনিটের বদলে সবাইকে ১৫ থেকে ২৫ ইউনিট অক্সিটোসিন দেওয়া হয়। যার কারণে হু হু করে রোগীদের রক্তচাপ কমে যায়।

চিকিৎসকদের দাবি

স্যালাইনের গুণগত মান (Saline Incident) নিয়ে ইতিমধ্যেই সারা রাজ্য উত্তাল। এর মধ্যেই চিকিৎসকমহলে প্রশ্ন উঠেছে অক্সিটোসিন নিয়েও। অক্সিটোসিনের গুণগত মানের জেরে সুস্থ মায়েরও মৃত্যু হয় বলে দাবি সরকারি হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের। তাদের দাবি, অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজে সাপ্লাই করা অক্সিটোসিনের গুণমান যথেষ্ট খারাপ। এতটাই যে, কিছু হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের বাইরে থেকে অক্সিটোসিন কিনে আনতে বলা হয়। ঘটনাটি বেশ কয়েক মাস আগে স্বাস্থ্যসচিবের নজরে আনার চেষ্টা করেছিলেন কিছু চিকিৎসক। বৈঠকের জন্য সময় চাওয়া হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যসচিব সময় দিতে পারেননি।

কী বলছেন স্বাস্থ্যসচিব?

স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানান, এই ধরনের মৃত্যু তাঁর কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করা হয়। কিন্তু কোন ডাক্তাররা কবে কথা বলতে চেয়েছেন, তা তাঁর পক্ষে মনে রাখা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য অধিকর্তা বা স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারতেন বলেও জানান স্বাস্থ্যসচিব।

স্বাস্থ্য দফতরের গাফিলতি

সংক্রমিত স্যালাইন (Saline Incident) ব্যবহারের জেরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে আগে থেকেই ওই সংস্থার একাধিক পণ্য ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতির মৃত্যুর পরও একাধিক হাসপাতালে নিষিদ্ধ সংস্থার স্যালাইন ব্যবহারের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যাল নামে ওই সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার করে নভেম্বর মাসে কর্নাটকে কয়েকজন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। এর পর ওই সংস্থার কারখানা পরিদর্শন করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। এর পর ওই সংস্থার ১৪টি পণ্য তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তারা। সঙ্গে রাজ্যের হাসপাতালগুলি যাতে ওই সংস্থাকে কোনও পণ্যের বরাত দিতে না পারে সেজন্য সরকারি পোর্টালে পণ্যগুলিকে কালো তালিকাভুক্ত হয়েছিল। তাও সেই সংস্থার স্যালাইনেই এবার প্রসূতি মৃত্যু হল রাজ্যে। স্বাস্থ্য দফতরের এই গাফিলতি কেন প্রশ্ন উঠছে সব মহলেই?

আরও পড়ুন: বন্দিদের মধ্যে মোবাইলের রমরমা! কেন্দ্রের পরামর্শে রাজ্যের জেলগুলিতে বসছে ৫জি জ্যামার

প্রসূতি মৃত্যুর পরিসংখ্যান

সুস্থ সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন সুস্থ মা। কিন্তু এর পরেই একাধিক অঙ্গ বিকল। যার জেরে কিছুদিনের মধ্যেই মৃত্যু (Saline Incident)। চমকে ওঠার মতো মৃত্যুর পরিসংখ্য়ান। দৃশ্যটি শুধু যে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের তা নয়। অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজেও একই ছবি দেখা যাচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, ১৮ বছর বয়সের কমবয়সি প্রসূতিদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে প্রাপ্তবয়স্ক প্রসূতিদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১২ শতাংশ। গত কয়েক মাসে শহর এবং প্রত্যেক জেলার কোনও না কোনও মেডিক্যাল কলেজ বা জেলা সদর হাসপাতালে সিজারের পরে অনেক প্রসূতির অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়ছে এবং মৃত্যুও ঘটছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

West Bengal

Bengali news

Bengal

Death

Health News

Saline Controversy

Maternal Mortality

Ringers lacatate

bengal health condition

saline oxytocin row bengal


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর