Adenovirus: তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না...
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার পর ফের চিন্তার ভাঁজ ফেলছে অ্যাডিনো ভাইরাস। গোটা রাজ্য কাঁপছে অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adenovirus) আতঙ্কে। শিশুমৃত্যুর সংখ্যাও ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ফলে অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার থেকে শিশুদের কীভাবে বাঁচাবেন ও কীভাবে বাচ্চাদের দেহে ইমিউনিটি বাড়িয়ে তুলবেন, তা জেনে নিন। ইমিউনিটি বজায় রাখতে প্রথমেই প্রয়োজন খাদ্যতালিকার দিকে বিশেষ নজর রাখা। তবে আক্রান্তদের কোনও খাবার চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়েই খাওয়ানো উচিত।
ডাবের জল: বাচ্চাকে ডাবের জল খাওয়াতে পারেন। এটি পটাশিয়াম ও অন্যান্য খনিজে পূর্ণ। এটি শরীর হাইড্রেট করে। পেট ঠান্ডা রাখে ও যে কোনও জীবাণু থেকে রক্ষা করে।
কমলালেবু: পুষ্টিবিদদের মতে, ছোটদের কমলালেবুর রস করে খাওয়ান। কারণ তারা চিবিয়ে খেতে পারবে না। তবে একটু বড় হয়ে গেলেই তাদের চিবিয়ে খেতে বলুন। এই ফল চিবিয়ে খেলে ভিটামিন তো মিলবেই, পাশাপাশি ফাইবারও পাওয়া যাবে। আসলে কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন ইমিউনিটি বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া অন্যান্য কিছু জরুরি খনিজ থাকে এই ফলে। ফলে অ্যাডিনো ভাইরাস থেকে সেরে উঠতে উপকারী এই ফল।
নিমপাতা ও উচ্ছে: বাচ্চাকে নিমপাতা ও উচ্ছে খাওয়ান। এমন খাবার জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বা সংক্রমণ এড়াতে খাদ্যতালিকায় রাখুন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। শরীরে পুষ্টির অভাব হলে যে কোনও ভাইরাস সহজে থাবা বসাতে পারে। বাচ্চাকে রোজ ডিম, মাছ, মাংস-র মত খাবার খাওয়ান। এতে পুষ্টির জোগান ঘটবে। এছাড়া মুসুর ডাল, সয়াবিন খাওয়াতে পারেন। এটিও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
রসুন: রসুন খাওয়াতে পারেন বাচ্চাকে। এতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি বায়োটিক উপাদান আছে।
দই: দই খাওয়া বাচ্চাদের জন্য উপকারী। এটি খাবার হজম করতে সাহায্য করে। তেমনই লিভারের জন্য ভালো। তবে, আগে চিকিৎসকের পরমার্শ নিন।
শাক-সবজি: শাক ও সবজিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভনয়েডস, জরুরি ভিটামিন ও মিনারেল। তাই শিশুর জ্বর, সর্দি, কাশি শুরু হলেই এই খাবার অত্যন্ত জরুরী।
দুধ ও ছানা: এতে রয়েছে ভিটামিন ডি, যা কেবল হাড় শক্ত করে না, বরং গোটা শরীরের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে পারে। এমনকী ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে।
পেঁপে ও গাজর: কোনও অসুখ থেকে সেরে ওঠার জন্য ভিটামিন এ শরীরে প্রয়োজন হয়। আর পেঁপে ও গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ। তাই অ্যাডিনো ভাইরাসে (Adenovirus) আক্রান্ত শিশুর ডায়েটে এই খাবার রাখুন।
এছাড়াও রোজ পর্যাপ্ত জল পান করা দরকার। বাচ্চাকে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ গ্লাস জলে জল পান করান। এতে শরীর থাকবে হাইড্রেটেড। শরীরে জলের অভাব হলে যে কোনও রোগ সহজে বাসা বাঁধতে পারে। তবে যে কোনও খাবার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভু্ক্ত করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।