গরম আর ঘামের জেরে অতিরিক্ত ক্লান্তি? নিস্তার মিলবে কীভাবে?
প্রতীকী ছবি।
তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে বেড়েছে অস্বস্তি। ঘামের জেরে নাজেহাল হচ্ছেন অনেকেই। ছোট থেকে বড়, সব বয়সিরাই হঠাৎ গরম আর ঘামের জেরে অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত ঘামের জেরে অনেকেই দুর্বল হয়ে পড়ছেন। কাজ ঠিকমতো করতে পারছেন না। স্কুল যাতায়াত করেই পড়ুয়ারা ক্লান্ত। তার জেরে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, কয়েকটি ঘরোয়া উপাদান নিত্যসঙ্গী করলেই ঘামে নাজেহাল হওয়া (Summer) কমানো যায়। এবার দেখা যাক, ঘাম আর গরমকে হারাতে কোন ঘরোয়া উপাদানকে নিত্যসঙ্গী করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠে মৌরি ভেজানো জল অন্তত এক গ্লাস খাওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, মৌরি শরীর ঠান্ডা রাখে। মৌরি ভেজানো জল এই শুষ্ক আবহাওয়ায় শরীরকে ঠান্ডা রাখবে। পাশপাশি জলের চাহিদা মেটাবে। ডিহাইড্রেশনের (Summer) ঝুঁকি কমবে। এই আবহাওয়ায় শরীরে জলের জোগান দেওয়া জরুরি। তাই মৌরি ভেজানো জল বিশেষ উপকারী।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত এক গ্লাস তরমুজের রস খেলে ঘামের সঙ্গে মোকাবিলা করা সহজ হবে। তাঁদের পরামর্শ, শিশুরা স্কুল থেকে ফেরার পরে অন্তত এক গ্লাস তরমুজের রস দেওয়া দরকার। তরমুজের মতো রসালো ফল শরীরে জলের চাহিদা মেটানোর পাশপাশি ঘামের ক্লান্তি দূর করতেও সক্ষম। কারণ, তরমুজে রয়েছে প্রচুর শর্করা। তাই তরমুজ খেলে সহজেই শরীর এনার্জি ফিরে পায়। ঘামের জেরে শরীরের যে দুর্বলতা তৈরি হয়, তরমুজ তা দূর করতে সক্ষম।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হঠাৎ ভ্যাপসা গরমে শরীরে অস্বস্তি বাড়ছে। এর জেরে হজমের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন আপাতত বন্ধ রাখা জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, মটন কারি, কাতলা কালিয়ার মতো অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার এই আবহাওয়ায় বাড়তি সমস্যা তৈরি করতে পারে। বরং পটল, পেঁপে, কাঁচকলা, লাউয়ের মতো সবুজ সব্জির তরকারি নিয়মিত খেলে বাড়তি উপকার (Summer)। এগুলো শরীর ঠান্ডা রাখে। হজম সহজে হয়। ফলে, শরীরে অস্বস্তি কমে। ঘাম কম হয়।
হঠাৎ অস্বস্তিকর গরমে অনেকেই আরাম পাচ্ছেন আইসক্রিম আর নরম পানীয়তে। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এর জেরে বিপদ বাড়ছে। শ্বাসনালীর উপরের অংশে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। এর জেরে কাশি, গলাব্যথা এমনকি শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে (Summer)। তাই এই আবহাওয়ায় এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Telegram, Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।