Childhood Diseases: শৈশবেও থাবা বসাচ্ছে ডায়াবেটিস! কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল?
অধিকাংশ শিশু প্যাকেটজাত নানান পানীয় খেতে অভ্যস্ত, প্রতীকী চিত্র।
তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
দেশ জুড়ে বাড়ছে ডায়াবেটিস। বয়সের চৌকাঠে আর এই রোগ আটকে নেই। বরং শৈশবেও থাবা বসাচ্ছে ডায়বেটিস। করোনা মহামারির পরবর্তীকালে শিশুদের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রকোপ আরও বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। খাদ্যাভ্যাস (Sweet Beverage) এবং জীবন যাপনে একাধিক অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের জেরেই এই ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তবে সাম্প্রতিক এক আন্তর্জাতিক রিপোর্ট জানাচ্ছে, শিশুদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার নেপথ্যে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সুইট বেভারেজ। এ দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকও এই তথ্যে সিলমোহর দিয়েছে। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, শিশুদের ডায়াবেটিস (Childhood Diseases) আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা যে হারে বাড়ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কারণ, এই রোগের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রয়েছে। খুব কম বয়স থেকে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে, পরবর্তীকালে কিডনি, চোখ, স্নায়ু সহ একাধিক অঙ্গে নানান জটিলতা দেখা যায়। জীবনযাত্রা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কম বয়সীদের সুইট বেভারেজ খাওয়ার অভ্যাস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা রঙিন পানীয়তে এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। তাছাড়া, এই ধরনের পানীয়তে থাকে প্রচুর কৃত্রিম চিনি এবং ফ্লেভার। যা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। যার জেরে শরীরে ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, খুব ছোট থেকেই এখন অধিকাংশ শিশু প্যাকেটজাত নানান পানীয় খেতে অভ্যস্ত। বাজার চলতি ফলের রস হিসেবে বিক্রি হওয়া অধিকাংশ প্যাকেটজাত পানীয়তে (Sweet Beverage) থাকে নানান রাসায়নিক। যা শিশুদের স্বাস্থ্যে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত শর্করা এবং কৃত্রিম ফ্লেভার মেশানো এই সব পানীয়র স্বাদ ধরে রাখতে এতে নানান রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। যার জেরে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।
পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, অধিকাংশ স্কুলে দেখা যাচ্ছে, স্কুল পড়ুয়ারা টিফিনে নানান ধরনের খাবারের সঙ্গে নিয়মিত প্যাকেটজাত পানীয় নিয়ে যায়। তারা যে ধরনের পানীয়তে অভ্যস্ত, তার পুষ্টিগুণ একেবারেই নেই। আর এর জেরেই ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ছে।
চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, যে কোনও প্যাকেটজাত পানীয় (Sweet Beverage) শিশুদের এড়িয়ে চলতে হবে। অভিভাবকদের আরও বেশি এই ব্যাপারে সচেতন হওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষকেও এই বিষয়ে সচেতন করতে হবে। দায়িত্ব নিতে হবে। অন্তত স্কুলে যেন কোনও ভাবেই প্যাকেটজাত পানীয় খাওয়া না হয়, সেদিকে নজরদারি করা জরুরি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, প্যাকেটজাত পানীয়র তুলনায় বাড়িতে তৈরি ফলের রস শিশুদের জন্য অনেক বেশি উপকারী। নিয়মিত লেবু, আম কিংবা বেদানার মতো ফলের রস খাওয়ালে শিশুর পুষ্টি হবে। তাছাড়া বাড়তি ফ্লেভার দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এতে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। রোগের ঝুঁকি কমে। ডায়াবেটিসের মতো জটিল রোগ এড়াতে প্রথম থেকেই খাদ্যাভ্যাসে নজরদারি জরুরি। না হলে ভোগান্তি (Childhood Diseases) বাড়বে।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।