ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ আখরোট হৃদযন্ত্রকে সুষ্ঠু ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে...
হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণের উপযুক্ত খাদ্য
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জীবনযাত্রা সম্পর্কে সচেতন না হলে একটা বয়সের পর থাবা বসাতে পারে হৃদরোগ। বিশেষ করে উচ্চরক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিস থাকলে এই বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া জরুরি। কিন্তু এই ক্ষেত্রে আমরা এতখানিই অসচেতন যে, একটা বয়সের পর আমাদের বেশির ভাগের মধ্যেই হৃদরোগজনিত কোনও না কোনও সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের পরিবর্তিত জীবনযাত্রা, অত্যধিক ব্যস্ততা, মানসিক চাপ এগুলিও কিন্তু হৃদরোগের কারণ হতে পারে।হৃদযন্ত্র (Heart) সুস্থ রাখার জন্য কিছু খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এই খাবারগুলি সম্পর্কে জেনে নিন এখানে—
গোটা শস্য- গোটা শস্যের মধ্যে তিনটি পুষ্টিসমৃদ্ধ অংশ রয়েছে- জীবাণু, এন্ডোস্পার্ম এবং ব্রান। সাধারণ ধরনের গোটা শস্যের মধ্যে রয়েছে গোটা গম, বাদামি চাল, ওটস (Oats) রাই, বার্লি, বাকউইট এবং কিনোয়া। পরিশোধিত শস্যের তুলনায় এই শস্যে ফাইবার বেশি থাকে। যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে খাদ্যতালিকায় আরও গোটা শস্য অন্তর্ভুক্ত করা হার্টের স্বাস্থ্যের উপকারী।
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে চান? ডায়েটে অবশ্যই রাখুন এই সাতটি খাবার
বিনস- প্রতিদিন আধকাপ বিনস (Beans) খাওয়া উচিত। এতে উপস্থিত ফলেট, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। আবার এতে উপস্থিত ফাইবার কোলেস্টেরল ও রক্তে শর্করার পরিমাণ কম করে।
অলিভ অয়েল- এই তেলও হৃদযন্ত্রের সুস্থতার জন্য অধিক কার্যকরী। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের কোষ রক্ষা করে। এটি কোলেস্টেরলের (Cholesterol) পরিমাণ কম করতে সাহায্য করে।
আখরোট- ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টে (Anti oxidant) সমৃদ্ধ আখরোট (Walnut) হৃদযন্ত্রকে সুষ্ঠু ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। এর ফলে হৃদরোগের সম্ভাবনাও কমে।
কাঠবাদাম- এতে উপস্থিত ভিটামিন ই, ফাইবার ও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। হৃদয় সুস্থ আকৃতি ধরে রাখার জন্য এই উপাদানগুলি অত্যন্ত জরুরি। কাঠবাদাম (Almond) শরীরে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম করতে সাহায্য করে।
সোয়া- সোয়া প্রোটিন কোলেস্টেরলের স্তর কমিয়ে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এক কাপ সোয়ায় ৮ গ্রাম হেল্দি ফাইবার থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁরা জিমে যান, তাঁরা সোয়া সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের পূর্বে চিকিৎসকদের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন।
কমলালেবু- কমলালেবুতে (Orange Fruit) উপস্থিত ফাইবার কোলেস্টেরল মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। দু কাপ কমলালেবুর রস রক্তবাহিকার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। এটি পুরুষদের মধ্যে রক্তচাপের সমস্যাকেও কম করে।
বেরি- অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ বেরি (Berry) হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বৃদ্ধি করে। এটি শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম করে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।