অনেকেই মনে করেন ডায়েট মানেই না খেয়ে থাকা কিন্তু বাস্তবে তা সম্পূর্ণ ভিন্ন...
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীরে বাড়তি মেদ কিংবা ওজন কমানোর জন্য বেশীরভাগ মানুষ চিন্তিত থাকেন। কি খেলে ওজন কমবে বা কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত নয় তা নিয়ে চলে বিস্তর ভাবনাচিন্তা। তাই শরীর ফিট রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করলেও ওজন কমানোর জন্য পুষ্টিবিদের কাছে পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত ডায়েট চার্ট মেনে চলা উচিত। পারফেক্ট ডায়েট চার্ট শরীরে ওজন ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সাহায্য করে। অনেকেই মনে করেন ডায়েট মানেই না খেয়ে থাকা। কিন্তু বাস্তবে ডায়েট পরিমিত সুষম আহার গ্রহণ করতে হয়। প্রতিটি মানুষের শরীরে ভিন্ন ভিন্ন উপাদানের ঘাটতি হয়। তাই পুষ্টিবিদরা ব্যক্তি বিশেষে বয়স, ওজন, উচ্চতা ও নানা বিষয়ের উপর নির্ভর করে ভিন্ন ভিন্ন ডায়েট চার্ট তৈরী করেন।
পুষ্টিবিদ ওজন নিয়ন্ত্রণে যে ডায়েট চার্টটি তৈরী করে দেন, প্রাথমিক ভাবে তার কিছু অংশ তুলে ধরা হল :-
বেরি ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি এবং রাম্পবেরিতে উচ্চ প্রোটন রয়েছে এবং গ্লাইসেমিক কম থাকায় এটিতে পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি শরীরের খতিকারক রোগ থেকে রক্ষা করে।
গ্রিন টি গ্রিন টি ওজন কমাতে খুবই সহায়ক একটি পানীয়। গ্রিন টি তে ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্যাট বার্ণ করে। শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গ্রিন টি একদিনে প্রায় ৭০ ক্যালরি পর্যন্ত বার্ণ করে।
শসা শসাতে ১০০গ্রাম শশার ভেতরে ১৫ ক্যালরি থাকে। শশাতে প্রচুর পরিমাণ জলের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে ভরপুর। শসাতে থাকা অ্যান্টিবডি শরীরে ক্ষতিকারক রোগ থেকে রক্ষা করে।
ব্রোকলি ব্রোকলিতে প্রোটিন, ফাইবার এবং প্রচর পরিমাণে মিনারেলস রয়েছে। ক্যালরি কম থাকায় ব্রোকলিতে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। ব্রোকলি অনেকক্ষন ধরে পেটে থাকায় বারবার করে ক্ষিধা পায় না সেই কারণে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
টমেটো শসার মতো টমেটোর পুষ্টিগুন অনেক। পটাসিয়াম, ভিটামিন সি ও পুষ্টিকর ফাইবার যুক্ত সুস্বাদু এই ফলটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা ত্বককে ক্ষতিকর UV রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
অলিভ অয়েল দৈনন্দিন গ্রহণ করা খাদ্যের সাথে অলিভ অয়েল যোগ করেও কমাতে পারেন অতিরিক্ত ওজন। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল শরীরের জন্য উপকারী। এতে আছে এক প্রকার মনস্যাচুরেটেড ফ্যাট (monounsaturated fat) যা ক্যালোরি বার্ণ করতে খুবই উপকারী। প্রতিদিন স্যালাডের সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে আপনি যেমন সালাদের গুণকে বাড়িয়ে নিতে পারেন কয়েক গুণ, তেমনি ওজনটাও রাখতে পারেন নিয়ন্ত্রণে।
গাজর ১০০ গ্রাম গাজরে মোটামুটি ৪১ ক্যালোরি থাকে। উপরন্তু, গাজরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম থাকায় গাজরের স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরের উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রন করে। মোকাবিলা করেন। গাজর এতে পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে এর মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে।