img

Follow us on

Saturday, Jul 06, 2024

Physicians: চিকিৎসকদের মধ্যে বাড়ছে কোন রোগ? কেন হঠাৎ মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছেন তাঁরা?

Medical Practitioner: রোগ সারানোর কারিগরদের ভোগান্তি কেন বাড়ছে? কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

img

চিকিৎসকদের নিজেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়মিত হওয়া জরুরি, প্রতীকী চিত্র।

  2024-07-04 13:27:50

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

সামান্য জ্বর থেকে জটিল রোগ, যে কোনও সমস্যাতেই চিকিৎসকই (Physicians) ভরসা। রোগ নিরাময়ের 'জাদুকাঠি' তাঁদের হাতেই‌। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, রোগ নিরাময়ের কারিগরেরা নিজেরাই ভালো নেই। অধিকাংশ সময়ে নিজেদের অসুখকেই তাঁরা অবহেলা করছেন। আর তার জেরে অকালে ঘটছে মারাত্মক বিপদ। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, পেশাগত চাপ সামলেও স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা জরুরি। চিকিৎসক বলেই সব কিছু সামলে নেওয়ার ক্ষমতা থাকে না। নিজের সুস্থতার দিকে নজরদারিও জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট? (Physicians)

সাম্প্রতিক এক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, চিকিৎসকদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে‌। পাশপাশি গত কয়েক বছরে উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে চিকিৎসকদের আত্মহত্যার ঘটনা। এই দুই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে দেশ জুড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনা প্রায় দেড়গুণ বেড়েছে। আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েছে দ্বিগুণ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বেশি হচ্ছে চল্লিশোর্ধ চিকিৎসকদের মধ্যে। আবার আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে তরুণ চিকিৎসকদের (Medical Practitioner) মধ্যে‌‌। পুরো বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

কেন বাড়ছে এই সমস্যা?

বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিকিৎসকদের (Physicians) শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের এই অবস্থার জন্য মূলত দুটি বিষয় রয়েছে। এক, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অনিদ্রা এবং অত্যধিক মানসিক চাপ।চিকিৎসক মহল জানাচ্ছেন, সার্জারি, অ্যানাস্থেশিয়া, পেডিয়াট্রিক সার্জারির মতো চিকিৎসা বিজ্ঞানের শাখায় পেশাগত চাপ থাকে মারাত্মক। এই ধরনের চিকিৎসায় তরুণ প্রজন্মের চিকিৎসকেরা খুব সহজে সাফল্য পান না। তাই এক ধরনের অবসাদ কাজ করে। আবার কাজে সামান্য ভুল হলেও মারাত্মক বিপদ ঘটতে পারে। তাই আরেক রকম চাপ তৈরি হয়। সব মিলিয়ে পুরো সময়টাই মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা ভালো হয় না‌। তাই‌ দেখা যায়, এক ধরনের অবসাদ তৈরি হয়। যা শরীর আর মন, দুইয়ের পক্ষেই ক্ষতিকারক।

আবার সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের অনেকেই কাজের চাপে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন না। অনেকেই বছরের পর বছর বাড়ি থেকে অনেক দূরে থাকেন। এক ধরনের একাকিত্ব গ্রাস করে‌। তার উপরে থাকে রোগীর চাপ। মেডিসিন, শিশুরোগ বিভাগ কিংবা স্ত্রীরোগ বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকেরা (Physicians) অধিকাংশ সময়েই রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খান। নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার সুযোগ পান না‌। অনেক সময়েই পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। দীর্ঘদিন অনিয়মিত খাওয়া আর ঘুম কম হওয়ার জেরে হৃদরোগের সমস্যা তৈরি হয়‌। আবার মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হতে থাকেন। যার প্রভাব হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতার উপরে পড়ে‌। সব মিলিয়েই বাড়ে বিপদ।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, চিকিৎসকদের (Medical Practitioner) নিজেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়মিত হওয়া জরুরি। সরকারি কিংবা বেসরকারি, যে কোনও হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষা আবশ্যিক হলে সহজেই সমস্যা ধরা পড়বে। অবহেলার সুযোগ কমবে‌। বড় বিপদ আটকানো সহজ হবে‌।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

Heart attack

bangla news

Bengali news

Suicide

Doctors

mental pressure

Medical Practitioner

physicians

body check up


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর