২০১৮ সালে প্রথম ব্যবহার হয় ‘ডিজিজ এক্স’ শব্দটি...
ডিজিজ এক্সের সাবধানবাণী শোনালেন হু প্রধান।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারই তামাম বিশ্বকে সতর্কবাণী শুনিয়েছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) প্রধান ট্রেডস অ্যাডহানাম গেব্রেইসাস। তিনি বলেছিলেন, করোনার (Covid) চেয়েও ভয়ঙ্কর কোনও মারণ ভাইরাস হানা দিতে পারে পৃথিবীতে। তাই পরিস্থিতির মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে বিশ্বকে। হু-র প্রধানের সতর্কবার্তার পরেই চর্চা শুরু হয়েছে ডিজিজ এক্স (Disease X) নিয়ে। হু জানিয়েছে, ডিজিজ এক্স হল কোনও মারাত্মক মহামারি, যা ফের হামলা করতে পারে তামাম বিশ্বে। তবে ওই রোগের কারণ জানা যাবে না। ২০১৮ সালে প্রথম ব্যবহার হয় ‘ডিজিজ এক্স’ শব্দটি। ডিজিজ এক্সের মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যেই চিকিৎসক-গবেষকরা গবেষণা ক্ষেত্রে আরও বেশি করে ফান্ড বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন।
হু-র কর্তাদের আশঙ্কা, ডিজিজ এক্সের প্রভাবে করোনার মতো আরও একটি আন্তর্জাতিক মহামারি হতে পারে। এর আগে হু-র ওয়েবসাইটে কোভিড-১৯, ইবোলা, মারবার্গ, সার্স নিপা এবং জিকার মতো ভাইরাসগুলির নাম ছিল। এবার সেই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ডিজিজ এক্স। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিজিজ এক্স করোনার চেয়েও বেশি ছোঁয়াচে হতে পারে। এটা শুধু মানুষের মধ্যে নয়, মানুষ থেকে প্রাণী কিংবা প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যেও ছড়াতে পারে। প্রাণী থেকে প্রাণীতেও ছড়াতে পারে ডিজিজ এক্সের জীবাণু।
ডিজিজ এক্স (Disease X) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাল্টিমোরের জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেল্থের গবেষক প্রণব চট্টোপাধ্যায়। চলতি বছরের শেষের দিকে হানা দিতে পারে এই ভাইরাস। হু কর্তার মতে, ডিজিজ এক্সের কোনও নির্দিষ্ট উপসর্গ নেই। তাই আগাম কোনও প্রতিষেধক তৈরি কিংবা চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করা সম্ভব নয়। তাই ফের মহামারির মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানান তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেক্ষেত্রে ফের লকডাউনের মতো পথে হাঁটতে হতে পারে বিশ্বকে। করোনায় গোটা বিশ্বে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ডিজিজ এক্সের (Disease X) প্রভাবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অতএব, সাধু সাবধান!
আরও পড়ুুন: নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোদির পাশে ১৭ দল, কারা জানেন?
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।