১৯৯৬ সাল থেকে নিয়ম করে পালিত হয়ে আসছে দিনটি...
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর ১২ অক্টোবর দিনটি পালিত হয় বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস (World Arthritis Day) হিসেবে। রোগটি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে ১৯৯৬ সাল থেকে পালিত হয় দিনটি। বিশ্বের বহু মানুষ এই রোগে ভুগলেও, সেই অর্থে গড়ে ওঠেনি সচেতনতা। সেই কারণে ১৯৯৬ সাল থেকে নিয়ম করে পালিত হয়ে আসছে দিনটি।
চিকিৎসকদের মতে, আর্থ্রাইটিস কোনও নির্দিষ্ট অঙ্গের ব্যথা নয়। বরং নানা অঙ্গেই এটা হতে পারে। আঙুলের গাঁটে গাঁটে যে ব্যথা হয়, চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় তাকেও আর্থ্রাইটিস বলা হয়। শরীরে কোনও আঘাত না লাগলেও, কোনও ব্যক্তি কাবু হতে পারেন এই রোগে। আর্থ্রাইটিস (World Arthritis Day) হল সন্ধিস্থলের প্রদাহ। নিত্য এই প্রদাহ হলে তার প্রভাব পড়ে সন্ধিস্থলের টিস্যুগুলিতে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় এর সঙ্গে সংযোগকারী টিস্যুগুলিও। যার জেরে সন্ধিস্থলের ব্যথায় কাবু হয়ে পড়েন রোগী।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে শুরু হয় ক্ষয়। যার জেরে দুর্বল হতে থাকে হাড়-মজ্জা। ক্ষরণ কমবেশি হয় নানা হরমোনের। তাই শুরু হয় আর্থ্রাইটিসের ব্যথা। বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন এই রোগের শিকার। বিশ্বে ১০০-রও বেশি ধরনের আর্থ্রাইটিস রয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ হল দু’টি – অস্টিওআর্থ্রাইটিস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস।
আর্থ্রাইটিস রোগের হাত থেকে বাঁচতে নিয়মিত খেতে হবে দুধ, দই এবং পনিরের মতো দুগ্ধজাত খাবার। এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি থাকায় হাড়ের ক্ষয় কমে। শক্তিশালী হয় হাড়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে অন্তত দু’ দিন খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে রুই, টুনা এবং স্যামন মাছ।
আরও পড়ুুন: হিংসার আগুনের মাঝে জীবনের জয়গান! ইজরায়েলে ১২ ঘণ্টা পর উদ্ধার যমজ শিশু
আর্থ্রাইটিসের জন্য বাদাম বেশ উপকারী। নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন আখরোট, পেস্তা ও কাঠ বাদাম। কারণ এগুলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন ই এবং ফাইবার। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে হাড়কে রক্ষা করে গ্রিন টি-র মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এ বছর বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবসের (World Arthritis Day) থিম হল, লিভিং উইথ অ্যান আরএমডি অ্যাট অল স্টেজেস অফ লাইফ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।