বয়স বাড়ার সঙ্গে উচ্চতা ঠিকমতো বাড়ছে না? কী বলছে আন্তর্জাতিক রিপোর্ট?
প্রতীকী চিত্র।
তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
বয়স বাড়ার সঙ্গে বিকাশের সম্পর্ক রয়েছে। শিশুর দেহের উচ্চতা ঠিকমতো না বাড়লে, অধিকাংশ অভিভাবকেরাই দুশ্চিন্তা করেন। জিনগত ও হরমোন ঘটিত একাধিক কারণ শিশুর দেহের উচ্চতা বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। তবে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, শৈশব থেকে বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত কিছু খাবার নিয়মিত খেলে শিশুর বিকাশে, বিশেষত উচ্চতা বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে (Child Growth)। এখন জেনে নেওয়া যাক, কোন খাবার নিয়মিত দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকেরা?
আন্তর্জাতিক এক গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়মিত কলা খেলে শিশুর বিকাশে বিশেষ সাহায্য হয়। কারণ, কলা এনার্জি জোগাতে সাহায্য করে। ছোটরা খেলাধুলো করে। তাদের বাড়তি এনার্জির প্রয়োজন হয়। কলার মতো ফল সেই এনার্জির জোগান দেয়। এছাড়াও, কলায় রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন। এর ফলে শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে কলা খুবই উপকারী। এছাড়াও ফাইবার ও প্রোবায়োটিক কলায় রয়েছে। তাই কলা খেলে শিশুর সার্বিক বিকাশে বিশেষ সাহায্য হয়।
সন্তানের পাতে নিয়মিত মাছ দিলে শরীরের উচ্চতা বৃদ্ধিতে বিশেষ সাহায্য হয়। এমনটাই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ছাড়াও রয়েছে আয়রন, ফসফরাস এবং সেলেনিয়ামের মতো একাধিক উপাদান। এই উপাদানগুলো শারীরিক বিকাশে (Child Growth) বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত মাছ খেলে শিশুর উচ্চতা বাড়ে।
আন্তর্জাতিক ওই গবেষণায় স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, শিশুর সুষম আহারের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তবেই শিশুর বিকাশ ঠিকমতো হবে। উচ্চতা বাড়বে। অর্থাৎ, প্রোটিন, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট সবকিছুই দেহে পর্যাপ্ত জোগান রাখতে হবে। আর তার জন্য দুধ কিংবা দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত খাওয়াতেই হবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, দু'বেলা দুধের পাশাপাশি দই ,ছানা, পনিরের মতো দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত খাওয়ানো জরুরি। তবেই দেহের উচ্চতা বাড়বে। শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন ও কার্বোহাইড্রেটের জোগান ঠিকমতো থাকবে।
পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, উদ্ভিদজ প্রোটিন হিসাবে সোয়াবিন বিশেষ উপকারী। তাই নিয়মিত সন্তানকে অন্তত ৫০ গ্রাম সোয়াবিন খাওয়ানো জরুরি। সোয়াবিনে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এবং প্রোটিন। তাই উচ্চতা বৃদ্ধিতে বিশেষ সহায়ক এই খাবার।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দুধের মতোই ডিম হল সুষম খাবার। ডিমে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং একাধিক ভিটামিন। বিশেষত ভিটামিন বি ১২ ডিম থেকে পাওয়া যায়। যা শিশুর বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষত এই ভিটামিন উচ্চতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই ডিম শিশু স্বাস্থ্যে খুবই উপকারী। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত অন্তত ১টা ডিম শিশুর খাবারের তালিকায় রাখতেই হবে (Child Growth)।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।