তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
গরমের দাপট অব্যাহত। তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ চড়ছে। বাইরে চরম অস্বস্তি। কিন্তু ঘরের ভিতরেও থাকা কষ্টকর হয়ে উঠছে। এর জেরে অনেকেই দিনভর ঘরের ভিতরে এসি চালিয়ে থাকছেন। আবার অনেকেই ঘরের তাপমাত্রা ১৭ কিংবা ১৮ ডিগ্রিতে নামিয়ে রাখছেন (Heatwave)। আর তার জেরেই সমস্যা বাড়ছে। দিনভর এই তাপমাত্রায় থাকার জেরে বাড়ছে একাধিক সমস্যা। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এসি ঘরে কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকলেই বড় শারীরিক সমস্যা এড়ানো যাবে। এসিতে থাকার কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?
দিনভর নয়, দিনের নির্দিষ্ট সময় এসি ঘরে থাকতে হবে (Heatwave)
বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় কখনই দিনভর এসি ঘরে থাকা উচিত নয়। বরং দিনের কিছুটা সময় আরামের জন্য থাকা যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার তাপমাত্রার সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। এই ক্ষমতা মানুষ প্রাকৃতিকভাবেই পেয়েছে। কিন্তু এই চরম তাপমাত্রায় দিনভর এসি ঘরে থাকলে শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে বাইরের তাপমাত্রার অনেকটাই পার্থক্য হবে। আর এর জেরে শরীরের তাপমাত্রা বাইরের তাপমাত্রার (Heatwave) সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা হারাবে। এর জেরে কমবে রোগ প্রতিরোধ শক্তি। এর ফলে পরিবেশের পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হবে। বাইরের কাজ করতেও কষ্ট হবে। তাই দিনভর এসি চালিয়ে থাকা একেবারেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়।
১৭-১৮ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা একেবারেই নয়, কমপক্ষে ২৬-২৭ ডিগ্রিতে রাখতেই হবে
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ঘরে এসি চালালে কখনই তাপমাত্রা ১৭-১৮ ডিগ্রিতে রাখা যাবে না। কারণ বাইরের তাপমাত্রা ৪১- ৪২ ডিগ্রির উপরে। কোথাও আবার তাপমাত্রা ৪৬-৪৭ ডিগ্রির চৌকাঠ পেরিয়ে গিয়েছে। তাই ঘরের তাপমাত্রা অত্যন্ত কম থাকলে সমস্যা বাড়বে। ঘরের বাইরে বেরলেই আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশন, ফুসফুসের সংক্রমণের মতো একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে। কারণ তাপমাত্রার বিরাট তারতম্যে (Heatwave) শরীরে একাধিক ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। তাই ভারসাম্য বজায় রাখতে ২৬-২৭ ডিগ্রিতে ঘরে এসি চালিয়ে কিছুক্ষণ থাকা যেতে পারে। এর ফলে শরীরে সাময়িক আরাম পাওয়া যেতে পারে। আবার রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।
সকালে কিছু সময় অবশ্যই ঘরের জানালা খুলে রাখতে হবে (Heatwave)
সূর্যের তাপে নাজেহাল। কিন্তু তারপরেও ঘরে সূর্যের আলো ঢোকা আবশ্যিক। কারণ সূর্যের আলো না ঢুকলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়। তাই দিনভর দরজা-জানালা বন্ধ রেখে এসি চলিয়ে রাখা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই ঘরের ভিতরে কিছুটা সময় আলো ঢোকার জন্য জানালা খুলে রাখা জরুরি। অনেক সময়েই সকাল দশটার পরে আর রোদের দাপট নেওয়া যাচ্ছে না। তাই ভোরে জানলা খুলে রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এসি ঘরে দরজা-জানলা বন্ধ থাকার জন্য একাধিক ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়। বিশেষত ফুসফুসের জন্য যা ক্ষতিকারক। তাই ঘরের দরজা-জানালা খুলে রাখা জরুরি।
শিশু ও বয়স্কদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি
এই গরমেও এসি ঘরে থাকার জন্য শিশু ও বয়স্কদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশু ও বয়স্কদের নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। পাশপাশি, ফুসফুসের একাধিক সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। তাই দীর্ঘ সময় এসি ঘরে থাকায় অভ্যস্ত না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, এতে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। আবার হাঁপানির মতো রোগে আক্রান্তদের ও এসি ঘরে দীর্ঘসময় থাকা এড়িয়ে চলতে বলছেন চিকিৎসকেরা (Heatwave)।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours