সুকান্তর প্রচেষ্টায় বাণগড় হবে পর্যটন কেন্দ্র…
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরে অবস্থিত বাণগড়। নিজেস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার গঙ্গারামপুরে অবস্থিত ঐতিহাসিক স্থান বাণগড়কে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে অনুমোদন কেন্দ্র সরকারের। শুক্রবার বালুঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানান, "বাণগড়কে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া) ২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে।" এর ফলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাণগড় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠলে জেলায় পর্যটকদের ভিড় বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। জেলায় আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
অপরদিকে জেলার (Dakshin Dinajpur) ইতিহাস গবেষক সমিত ঘোষ ও ইতিহাসবিদ সুকুমার সরকার বলেন, “বাণগড়ের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। এখানে কুশান, শুঙ্গ, মৌর্য, গুপ্ত, পাল এবং মুসলিম আমল সহ সাতটি স্তর খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। এর রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি এখানে আরও গবেষণার ফলে ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য উঠে আসবে। এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলে রাজ্য এবং দেশের মানুষ, একই স্থানে বিভিন্ন যুগের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে ছুটে আসবেন। ছাত্রছাত্রী, গবেষক এবং অধ্যাপকেরা ভীষণভাবে উপকৃত হবেন। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের প্রচেষ্টায় বাণগড়ে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকার আর্থিক অনুমোদন দিয়েছে বলে একই মন্তব্য করেন গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়। ভোটের চমক হোক, আর যাই হোক, বাণগড়ে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে ভারতীয় প্রত্নতত্ব বিভাগের প্রায় তিন কোটি টাকা অনুমোদনে আশার আলো দেখছেন জেলার ইতিহাসবিদ, ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ।
এই বিষয়ে বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাদের জেলার ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্র বাণগড়। আজকে আনন্দের সাথে জানাচ্ছি স্বাধীনতার পর বাণগড়ে অনেক খননকার্য হয়েছিল আগে, এখন তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বহুবার জেলা থেকে চেষ্টা করার পর কিছু করা যায়নি। আজকে জেলাবাসীর জন্য সুখবর কেন্দ্রের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে ২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা বাণগড়ের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।”
যদিও জেলা (Dakshin Dinajpur) তৃণমূলের পক্ষ থেকে এটিকে রাজনৈতিক চমক বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, “পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠলে জেলার ভালো খবর। তবে প্রশাসনিকভাবে আমরা জানতে না পেরে সুকান্তবাবুর মুখ থেকে জানতে পারছি। আমরা মনে করি লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক চমক দিতেই তা করা হয়েছে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।