Indraprastha: পুরানা কিলার নীচেই কি রয়েছে পাণ্ডবদের ইন্দ্রপ্রস্থ নগরী?
পাণ্ডবদের ইন্দ্রপ্রস্থের খোঁজে শুরু হবে পুরানা কিলার এই অঞ্চলে শুরু হবে খনন
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাভারতে উল্লেখিত পাণ্ডবদের ইন্দ্রপ্রস্থ নগরের খোঁজে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) দিল্লির পুরানা কিলা (Purana Qila) এলাকায় খনন শুরু করবে। মনে করা হচ্ছে প্রাচীন ইন্দ্রপ্রস্থ নগর ঠিক এই জায়গাতেই ছিল। দিল্লির “পুরানা কিলা” ষোড়শ শতকে প্রাচীন দুর্গের ধ্বংসাবশেষের উপর তৈরি করেছিলেন মুঘল শাসক হুমায়ুন (Humayun) । প্রাচীন ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে পাণ্ডবদের (Pandav) ইন্দ্রপ্রস্থের নগরীর যোগ রয়েছে বলে ইতিহাসবিদরা মনে করেন।
দিল্লির পুরানা কিলা (Purana Qila) ঘিরে রয়েছে রয়েছে নানান তত্ত্ব, সংশয় ও অনুমান। ৩১ মার্চ ভারতের পর্যটন মন্ত্রকের ‘এক বিরাসত অপনাও” যোজনার অন্তর্গত “পুরানা কিলা” ডালমিয়া গ্রুপের সভ্যতা ফাউন্ডেশনের হাতে তুলে দেওয়ার আগে এক ঘণ্টার তথ্যচিত্র দেখানো হয়। এর আগে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া পুরানা কিলার আশেপাশে থেকে খননে যে মাটির বাসন, মুদ্রা ও টেরাকোটার মূর্তি উদ্ধার করেছিল তা ওই তথ্যচিত্রে দেখানো হয়। সভ্যতা ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে হেরিটেজ অ্যান্ড ইভেন্টসের সিইও অজয় বর্মন বলেন, “ইন্দ্রপ্রস্থ (Indraprastha) নগরীর উপরেই দাঁড়িয়ে আছে পুরানা কিলা। যেভাবে একই জায়গায় সভ্যতার অনেক স্তর পাওয়া যায়, ঠিক সেভাবেই এই এলাকায় মাটির তলায় লুকিয়ে আছে ইন্দ্রপ্রস্থ নগর। আমরা এরপর যে হেরিটেজ ওয়াক করব সবটাই মহাভারত কেন্দ্রিক হবে। মহাভারত কোনও কাল্পনিক গল্প নয়। আমাদের দেশের ইতিহাস। এএসআই একটু চেষ্টা করলেই মাটির তলা থেকে সেই সময়ের স্মৃতিচিহ্ন বের করে নিয়ে আসতে সক্ষম হবে।”
এই আসন্ন খনন হবে পুরানা কিলায় (Purana Qila) এএসআই দ্বারা পরিচালিত সপ্তম খনন। যা দিল্লি-এনসিআর-এর সবচেয়ে বড় খনন হবে। এর মূল উদ্দেশ্য হল ,মহাভারতের সঙ্গে দুর্গের সংযোগ সংক্রান্ত প্রমাণ খুঁজে বের করা। এই কাজে ২০১৪ সালে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আসে যখন এএসআই প্রত্নতাত্ত্বিকরা রঙ করা মাটির পাত্র, (PGW), জ্যামিতিক নিদর্শন সহ সূক্ষ্ম, মসৃণ ধূসর মৃৎপাত্র উদ্ধার করে করেন।
আরও পড়ুন: সমীক্ষা শুরুর ৮০ দিনের মধ্যেই ভোজশালায় উদ্ধার হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি
কার্বন ডেটিং করে যার তারিখ বের হয় প্রায় ১১০০ খ্রিষ্টপূর্ব থেকে ৫০০-৪০০ খ্রিষ্টপূর্ব। এই সময়সীমা মহাভারতের রচনাকালের কিছু অনুমান মেলে। এএসআই খননের পরিচালক বসন্ত স্বর্ণকার আবিষ্কারটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন "আমাদের জন্য, এটি সবচেয়ে মূল্যবান আবিষ্কার।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।