প্রতিবছর কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে ভ্রাতৃ দ্বিতীয়া বা ভাই ফোঁটা পালিত হয়।
ভাইফোঁটা।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা/যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা এই মন্ত্র উচ্চারণ করেই ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেয় বোনেরা। ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে। ভাইয়েরাও বোনেদের জন্য প্রার্থনা করে। আর দাদারা তাঁদের আশীর্বাদী হাত রাখে বোনেদের মাথায় । দিদিরাও ভাইদের বড় হওয়ার আশীর্বাদ করে। প্রতিবছর কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে ভ্রাতৃ দ্বিতীয়া বা ভাই ফোঁটা পালিত হয়। তবে এ বছর ভাই ফোঁটা দুই দিন। কারও মতে ২৬ অক্টোবর ভাই ফোঁটা আবার কেউ কেউ ২৭ অক্টোবর ভাই ফোঁটা পালন করবেন।
আরও পড়ুন: জনশ্রুতি, তাঁর নামেই হয়েছে রানাঘাট শহরের নামকরণ, জানুন রণ ডাকাতের কালীপুজোর গল্প
পঞ্জিকা অনুযায়ী ২৬ অক্টোবর দুপুর ২টো ৪২ মিনিট থেকে দ্বিতীয়া তিথি শুরু হচ্ছে। যা ২৭ অক্টোবর ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। অর্থাৎ ২৬ ও ২৭ অক্টোবর এই দুই দিনই দ্বিতীয়া তিথি থাকবে। শাস্ত্রে ভ্রাতৃ দ্বিতীয়া তিথিটি যম দ্বিতীয়া নামেও পরিচিত। এই তিথিতে নিজের বোন যমুনার বাড়ি যান যম। কাহিনি অনুযায়ী কার্তিক শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথি বোনের নিমন্ত্রণ স্বীকার করে তাঁর বাড়ি যান যম। সে দিন যমুনার পুজো গ্রহণ করে তাঁর গৃহ ভোজন করেন তিনি। যমুনা আশীর্বাদ চাইলে যম বলেন যে, এই তিথিতে যে ভাই নিজের বোনের বাড়ি গিয়ে তাঁর পুজো স্বীকার করবে ও তাঁর হাতে তৈরি রান্না গ্রহণ করবে, তাঁর ভাগ্যে অকালমৃত্যুর ভয় থাকবে না।
আরও পড়ুন: জানুন, সাতের দশকের কলকাতার ডন 'ফাটাকেষ্ট ও তাঁর কালীপুজোর গল্প'
এই পবিত্র দিনে বোনেরা ভাইয়ের কপালে চন্দনের ফোঁটা দেন। বাস্তুতন্ত্র অনুসারে ভাইকে ফোঁটা দেওযার সময় তাঁর মুখ যেন পূর্ব, উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে থাকা উচিত। এই দিনে ভাইকে ফোঁটা দেওয়ার আগে কিছু খাওয়া উচিত নয়। ভাইফোঁটার দিন ভাই-বোনেরা যেন নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করবেন না। ভাইয়ের থেকে পাওয়া উপহার যেমনই হোক না কেন ,তাকে ও তার দেওয়া উপহারকে কখনও অসম্মান করবেন না। ভাইফোঁটার দিন কপালে ফোঁটা দেওযার আগে দুজনেই কিছু খাবেন না। ওই দিন মিথ্যা কথা একেবারেই বলবেন না। পুজোর সময় কালো কাপড় একেবারেই পরবেন না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।