img

Follow us on

Friday, Sep 20, 2024

Durga Puja 2024: আট হাতে নেই কোনও অস্ত্র, দুটি হাতেই অসুর দমন করেন দেবী কাত্যায়নী!

Nadia: শান্তিপুরের অদ্বৈত আচার্যের বংশধর বড় গোস্বামী বাড়ির পুজোর ইতিহাস বড়ই চমকপ্রদ!

img

প্রত্যেক বছরই মহা সমারোহে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী কাত্যায়নী। নিজস্ব চিত্র।

  2024-09-19 17:37:01

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার অদ্বৈত আচার্যের বংশধর বড় গোস্বামী বাড়ি শান্তিপুরের এক অন্যতম তীর্থস্থান। এই বাড়িতেই প্রায় ৩৫০ বছর ধরে চিরাচরিত নিয়ম মেনে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী কাত্যায়নী। বর্তমানে চতুর্থতম বংশধর আদ্রিপ গোস্বামীর কথায় জানা যায় দেবী (Durga Puja 2024) আরাধনার ইতিকথা। জানা গিয়েছে, এখন থেকে ৩৫০ বছর আগে তাঁদের বাড়ির রাধারমন বিগ্রহ হঠাৎ চুরি হয়ে যায়। তার পর থেকেই প্রত্যেক সদস্য মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। কীভাবে রাধারমনকে খুঁজে পাওয়া যাবে, এই চিন্তায় তখন সবার দিশাহারা অবস্থা। অবশেষে তাঁরা জানতে পারেন, ভাগবত পুরাণে রয়েছে, দেবী কাত্যায়নীর ব্রত করলে ইষ্ট দেবতাকে পাওয়া যাবে। সেই মতো বড় গোস্বামী বাড়ির গৃহবধূরা দেবী কাত্যায়নীর ব্রত করতে শুরু করেন।

কার্তিক এবং গণেশ উল্টো দিকে (Durga Puja 2024)

পরবর্তীতে বাড়ির জেষ্ঠা গৃহবধূ স্বপ্নাদেশ পান, তাঁদের রাধারমন নদিয়ার দিগনগরের একটি দিঘিতে পড়ে রয়েছে। তৎক্ষণাৎ বাড়ির সদস্যরা সেই স্থানে ছুটে গিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন তাঁদের বিগ্রহ দেবতা রাধারমনকে। তার পর থেকে প্রত্যেক বছরই মহা সমারোহে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী কাত্যায়নী। যদিও দেবী আরাধনায় রয়েছে বিশেষ নিয়ম। দেবীর ৮টি হাতে কোনও অস্ত্র থাকে না, দুটি হাতে থাকে অসুর দমনে অস্ত্র। দেবীর দুই সন্তান কার্তিক এবং গণেশ থাকেন উল্টো দিকে। দেবীর ভোগ নিবেদনেও রয়েছে বিশেষ নিয়ম। বৈষ্ণব মতে পূজিত হন দেবী কাত্যায়নী। মহাভোগ তৈরি হয় বাড়ির দীক্ষিত গৃহবধূদের দিয়ে। সকালে হয় বাল্য ভোগ, সপ্তমী-অষ্টমী-নবমী-এই তিন দিন বিশেষ মহাভোগ হয় ৩৩ ব্যঞ্জনে। নবমীর দিন সকালে দেবীর কাছে সকলের মঙ্গল কামনা করা হয়, বিশেষভাবে দশমীতে (Durga Puja 2024) সারা বাড়িতে শান্তির জল ছেটানো হয়। বাড়ির প্রত্যেক সদস্য শুদ্ধ পোশাকে থাকেন।

বিসর্জনেও বিশেষত্ব

তবে দেবী বিসর্জনে রয়েছে বিশেষ নিয়ম। দশমীর দিন সকালে দেবী (Durga Puja 2024) বিসর্জন করে সকলে তড়িঘড়ি বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর রাধারমন অর্থাৎ বাড়ির বিগ্রহ দেবতাকে ভোগ নিবেদন করেন। জানা গিয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত দেবী বিসর্জন না হয়, ততক্ষণ রাধারমনকে ভোগ নিবেদন করা হয় না। তবে ৩৫০ বছর ধরে নিষ্ঠা সহকারে দেবীর আরাধনা হয়ে আসছে শান্তিপুরের এই বড় গোস্বামী বাড়িতে। এখন থেকেই চলছে দেবীমূর্তি তৈরির কাজ। ব্যস্ত রয়েছেন অদ্বৈতাচার্যের বংশধারেরাও (Nadia)।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

Bengali news

Nadia

madhyom bangla

Durga Pujo

shantipur

bengal durga puja

hindu festivals

durga puja 2024

ma durga

ma mahamaya

heritage durga puja of bengal

devi katyayani


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর