Asansol: জিতাষ্টমীর পরের দিন নবমী তিথি পড়লেই গাড়ুই গ্রামের প্রাচীন মন্দিরে শুরু হয়ে যায় দুর্গাপুজো!
প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো এই পুজো। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলের গাড়ুই গ্রামে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024) একেবারেই ব্যতিক্রমী। প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন এই পুজো হয় ১৫ দিন ধরে। জিতাষ্টমীর পরের দিন নবমীতে মঙ্গলঘট প্রতিষ্ঠা দিয়ে শুরু হয় বোধন। সেই দিন থেকে পুজো চলে দশমী পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, সন্ধিক্ষণের সময়ে মা নিজের উপস্থিতি জানান দিয়ে যান। লোকমুখে এমন বিশ্বাসের কথাই শোনা যায়।
আসানসোল পুর নিগমের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত এই গাড়ুই গ্রাম। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত প্রাচীন এই গ্রামে পুরনো পারিবারিক দুর্গাপুজো এটি। চট্টোপাধ্যায়, মুখোপাধ্যায় এবং বন্দ্যোপাধ্যায়-এই তিন পরিবার রয়েছে এই পুজোয়। এই প্রাচীন পুজোকে ঘিরেই মানুষের উন্মাদনা বেশি। এখনও এই মূল ও প্রাচীন পুজোর নবপত্রিকাকে স্নান করিয়ে নিয়ে আসার সময় সেই পালকিই আগে আসে। অন্য দুটো পুজোর নবপত্রিকা তার পরে আনা হয়। শুধু তাই নয়, সন্ধিক্ষণ থেকে বলিদান বা অন্যান্য সমস্ত কিছু নিয়মকানুন এই প্রাচীন মন্দিরে আগে হয়, তারপর গ্রামের অন্য দুটি মন্দিরে সেই নিয়ম মানা হয়।
পারিবারিক সদস্য ও মন্দিরের পুরোহিত বিপত্তারণ চট্টোপাধ্যায় ও ধীরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো এই পুজো। মন্দিরে অষ্টধাতুর মূর্তি রয়েছে। তা নিত্যপুজো হয়। যদিও পুজোয় দেবী দুর্গার মৃন্ময়ী মূর্তিও বানানো হয়। জিতাষ্টমীর পরের দিন নবমী তিথি পড়লেই গাড়ুই গ্রামের এই প্রাচীন মন্দিরে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024) শুরু হয়ে যায়। পুকুর থেকে নিয়ে আসা হয় মঙ্গলঘট। স্থাপন করা হয় মন্দিরের ভিতর। তিনি আরও বলেন, অষ্টধাতুর মূর্তিকে নিয়ে যাওয়া হয় সেই ঘটের সামনে। সেখানে শুরু হয় দুর্গার আরাধনা, পুজো-আর্চা, চণ্ডীপাঠ। দুর্গাপুজোর ১১ দিন আগে থেকেই পুজো শুরু হয়। অর্থাৎ, মোট ১৫ দিন ধরে এখানে (Asansol) দুর্গাপুজো হয়।
শরিকি পরিবারের হলেও বর্তমানে এই পুজো গ্রামের মানুষের পুজো হয়ে গিয়েছে। সমস্ত গ্রামের মানুষ এসে এখানে আনন্দ করেন, অঞ্জলি দেন এবং প্রসাদ গ্রহণ করেন। পুজোর চারদিন বাইরে যাঁরা থাকেন, পরিবারের সেই সদস্যরাও ফিরে আসেন গ্রামে। একটা মিলন উৎসবের চেহারা নেয় গাড়ুই গ্রামের (Asansol) এই দুর্গাপুজো।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।