Sandhipujo: গঙ্গারামপুরের ফুলবাড়ি থেকে সাত কিলোমিটার দূরে উদয় গ্রাম, জমিদারের বংশধররা বছরের পর বছর পুজোয় ধরে রেখেছেন নিয়মনিষ্ঠা!
জমিদারের পুজো ঘিরে কয়েকটা দিন উদয় গ্রাম জমজমাট থাকে। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোয় পরম্পরার বিচারে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গও কম যায় না। এখানেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু প্রাচীন পুজো, যেগুলি জমিদার আমল থেকে বংশ পরম্পরায় চলে আসছে। কোথাও হয়তো জাঁকজমক বা আতিশয্য কম। কিন্তু আন্তরিকতায় কেউ কম যায় না। উত্তরবঙ্গের এমনই এক জেলা হল দক্ষিণ দিনাজপুর। এই জেলার গঙ্গারামপুরের ফুলবাড়ি থেকে সাত কিলোমিটার দূরে উদয় গ্রাম। বসতি থাকলেও গ্রামটি নিরিবিলি। গ্রামের মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে জমিদার হৃষিকেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। শোনা যায়, সন্ধিপুজো শুরুর আগে জমিদার তাঁর বন্দুক থেকে শূন্যে গুলি ছুড়তেন। তার পর শুরু হত মায়ের পুজো (Durga Puja 2024)। জমিদার এখন নেই। নেই জমিদারি প্রথাও। তাই এখন আর সন্ধিপুজোর আগে শূন্যে ছোড়া গুলির শব্দও শোনা যায় না। তবে জমিদারের বংশধররা বছরের পর বছর নিয়মনিষ্ঠা ধরে রেখেছেন।
আরও শোনা যায়, প্রজাদের মঙ্গল কামনায় জমিদার হৃষিকেশ বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গারামপুরের উদয় গ্রামে পঞ্চমুণ্ডির আসন প্রতিষ্ঠিত করে দুর্গাপুজো শুরু করেন। মা দুর্গার আসনটি পঞ্চমুণ্ডির আসন হওয়ায় এক সময় মহিষ বলি দেওয়া হত। পুজোর পাঁচদিন পাত পেড়ে প্রজাদের খাওয়ানো হত। দুঃস্থদের হাতে তুলে দেওয়া হত নতুন বস্ত্র। পুজোমণ্ডপ চত্বরে বসত যাত্রাগান ও মঙ্গলচণ্ডী গানের আসর। বসত মেলাও। জমিদারের পুজো ঘিরে কয়েকটা দিন উদয় গ্রাম জমজমাট থাকত (Sandhipujo)। তবে এখনও জমিদারের পুজোয় ১০৮টি বেলপাতা দিয়ে যজ্ঞ হয়। জমিদার হৃষিকেশ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়াত হওয়ার পর পুজোর দায়িত্বভার একে একে কাঁধে তুলে নেন তাঁর বংশধররা। এবারে পুজোর (Durga Puja 2024) দায়িত্বে রয়েছেন জমিদারের অষ্ঠম পুরুষ স্বপন শর্মা রায়, বাবুন শর্মা রায়, দেবাশিস শর্মা রায় ও সমীর শর্মা রায়রা।
এবিষয়ে জমিদার বাড়ির বংশধররা বলেন, পুজোর (Durga Puja 2024) পুরনো রীতি আমরা এখনও ধরে রেখেছি। পুজোর চারদিন সারাক্ষণ আমাদের যজ্ঞের আগুন জ্বলে। বাবুন শর্মা রায় বলেন, 'বাপঠাকুরদার মুখে শুনেছি আমাদের এই পুজো বহু পুরনো। তাঁর স্মৃতি হিসেবে বলি দেওয়ার খড়্গ, কাঁসার বাসনপত্র সহ বেশ কিছু জিনিস রয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।