Importance Of Guru Purnima: গুরু পূর্ণিমায় ভগবান শিব তাঁর প্রথম সাত শিষ্যকে যোগ-বিজ্ঞানের শিক্ষা দিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস
গুরু পূর্ণিমা ২০২৪ (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মের প্রতিটি পূর্ণিমা তিথি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। পূর্ণিমা তিথিগুলি পালনে মেলে নানা ফল, এমনটাই বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের। তবে সব পূর্ণিমার মধ্যে অন্যতম বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হলো গুরু পূর্ণিমা উৎসব (Guru Purnima 2024)। সাধারণভাবে আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে গুরু পূর্ণিমা পালিত হয়, তাই একে অনেকে আষাঢ় পূর্ণিমাও বলেন। চলতি বছরে এই পূর্ণিমা শ্রাবণ মাসেই পালিত হচ্ছে। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস অনুযায়ী এই পবিত্র তিথিতে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন বেদব্যাস, তাই এটিকে ব্যস জয়ন্তী হিসেবেও পালন করা হয়। গুরু পূর্ণিমাতে পূজা-অর্চনা, ব্রত পালন করলে ব্যক্তির জীবন সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে বলে বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের।
পঞ্জিকা অনুযায়ী ২০ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা থেকে গুরু পূর্ণিমা (Guru Purnima 2024) তিথির সূচনা। ২১ জুলাই দুপুর ৩টে ৪৭ মিনিটে এই তিথি সমাপ্ত হবে। শাস্ত্র অনুযায়ী, পূর্ণিমা তিথিতে পূর্ণিমার ব্রত পালন করা হয়। রাত্রিবেলা পূর্ণিমা তিথি থাকলে সে দিন ব্রত ও পুজো করা উচিত। তাই ২০ জুলাই পূর্ণিমা ব্রত করা হয়। ২১ জুলাই গুরু পূর্ণিমার স্নান-দান করা যাবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
গুরু পূর্ণিমায় (Guru Purnima 2024) সর্বার্থসিদ্ধি যোগ থাকবে বলে জানাচ্ছেন জ্যোতিষীরা। এই যোগে করা যে কোনও কাজই সফল হয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এ সময় শুভকর্ম করা উত্তম। ২১ জুলাই সকাল ৫টা ৩৬ মিনিট থেকে ২২ জুলাই মাঝরাত ১২টা ১৪ মিনিট পর্যন্ত সর্বার্থসিদ্ধি যোগ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি গুরু পূর্ণিমায় বিষ্কম্ভ যোগও থাকবে। ২১ জুলাই মাঝরাত ১২টা ৮ মিনিট থেকে শুরু করে ২১ জুলাই রাত ৯টা ১১ মিনিটে এই যোগ সমাপ্ত হবে। জ্যোতিষীদের মতে, গুরু পূর্ণিমায় (Importance Of Guru Purnima) প্রীতি যোগও থাকবে। এই যোগকে প্রেম যোগও বলা হয়। শুভ ও ইতিবাচকতার প্রতীক এই যোগ। ২১ জুলাই রাত ৯টা ১১ মিনিট থেকে ২২ জুলাই সন্ধ্যা ৫টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত প্রীতি যোগ থাকবে।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় সভ্যতায় গুরুকে ঈশ্বরের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। বাড়িতে বাড়িতে গুরু পূজনের রীতি তাই দেখা যায়। সনাতন সংস্কৃতিতে গুরুর স্থান একটি বিশেষ পর্যায়ে রাখা হয়েছে। কারণ পিতা-মাতার পরে, গুরুই একমাত্র ব্যক্তি যিনি শিষ্যকে সঠিক পথ দেখান, এমনটাই ধারণা ভক্তদের। গুরু তাঁর শিষ্যকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে এনে সাফল্যের দিশা দেখান বলেই বিশ্বাস ভক্তদের। ধর্মীয় শাস্ত্রমতে (Importance Of Guru Purnima), গুরু পূর্ণিমার দিনে, ভগবান শিব তাঁর প্রথম সাত শিষ্য, সপ্তঋষিদেরকে সর্বপ্রথম যোগ-বিজ্ঞানের শিক্ষা দিয়েছিলেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।