Conch Shells: শঙ্খ ব্যবহারে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা সকলকে মানতেই হবে...
শঙ্খ ব্যবহারের নিয়ম...
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু সংস্কৃতির সঙ্গে শঙ্খের যোগ আজকের নয়। সেই কোন প্রাচীন কাল থেকে পুজো-অর্চনার কাজে লেগে আসছে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি।
হিন্দু পুরাণ ও ধর্মমতে শঙ্খের স্থান
পবিত্র সনাতন ধর্মে শঙ্খ ভগবান বিষ্ণুর প্রতীক। একে বিষ্ণুর অর্ধাঙ্গী হিসেবেও পুজো করা হয়। সৃষ্টির শুরুতে সমুদ্রগর্ভ হতে, পালনকর্তা ভগবান বিষ্ণু ও স্বর্গীয় দেবতাদের তৈরী ঘূর্ণাবর্তের মধ্য থেকে অস্ত্ররূপে শঙ্খকে হাতে ধরে আবির্ভাব হয় ভগবান বিষ্ণুর। অপরদিকে শঙ্খ ধন ও প্রতিপত্তির দেবী মা লক্ষীর আব্রু। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মতে, শঙ্খ ভগবান বিষ্ণু এবং মা লক্ষ্মীর অধিষ্ঠানকারী মন্দির।
আরও পড়ুন: শঙ্খের উৎপত্তি কোথায়? কোন শঙ্খের মূল্য সবচেয়ে বেশি?
পুজো-অর্চনায় শঙ্খের ব্যবহার
আরতিতে দুই ধরণের শঙ্খ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একটি পুজোর পূর্বে শঙ্খনাদ ধ্বনি উচ্চারণে আর অন্যটি পুজোর সামগ্রী হিসেবে প্রয়োজন হয়। কিন্তু কখনওই পুজোর আগে বাজানোর জন্যে ব্যবহৃত শঙ্খ পুজোর কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়। “বরাহ পুরাণ” স্পষ্টভাবে বলেছে, কখনই মন্দিরের দ্বার শঙ্খধ্বনির উচ্চারণ ব্যতীত খোলা উচিত নয়। বামাবর্তী শঙ্খ বাজানোর জন্যে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু শঙ্খনী জাতীয় শঙ্খ ব্যবহার নিষিদ্ধ, তাই এগুলো কালো জাদু, যাকে বলা হয় “অঘোরী বিদ্যা” কিম্বা অপদেবতার আরাধনায় কাজে লাগানো হয়।
আরও পড়ুন: শঙ্খ তিনবার বাজানো হয়, কেন জানেন? কী বলা হয়েছে শাস্ত্রে?
শঙ্খ ব্যবহারে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় বাড়িতে প্রদীপ জ্বালান! এই সনাতন রীতির গুরুত্ব জানেন কি?