Jhulan Yatra 2022: আজ থেকে শুরু হচ্ছে ঝুলন উৎসব, চলবে আগামী পাঁচদিন, সমাপন রাখি পূর্ণিমার দিন...
ঝুলনযাত্রা
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝুলন পূর্ণিমাকে শ্রাবণী পূর্ণিমাও বলা হয়। বৃন্দাবনে রাধা-কৃষ্ণকে কেন্দ্র করে দ্বাপরযুগে এই ঝুলন উৎসবের সূচনা হয়েছিল, তারপর থেকে যুগ যুগ ধরে এই পর্ব চলে আসছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কৃপা করে দ্বাপরযুগে এই পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন এবং তার বয়ঃবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বৃন্দাবন তথা নন্দালয়ে নানারকম লীলাসাধন করেছিলেন। বয়ঃসন্ধিতে কিশোর কৃষ্ণ ও রাধারানীর যে মধূর প্রেমের পরিপূর্ণ প্রকাশ বৃন্দাবনে স্থাপিত হয়েছিল তারই লীলা স্বরূপা এই ঝুলনযাত্রা।
দোলনা কেন রাখতেই হবে পূর্ব-পশ্চিম দিকে?
ঝুলনযাত্রায় রাধাকৃষ্ণের মূর্তি দোলনায় স্থাপন করে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে ঝোলানো হয়। এখানে শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন প্রকৃতি আর রাধারানী হলেন তার পরম ভক্তস্বরূপিনী। সূর্য হলেন পৃথিবীর সমস্ত শক্তির উৎস, পূর্ব দিকে উদয় ও পশ্চিম দিকে অস্ত যায়। এই উদয়অস্ত-এর দিক স্বরূপ পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে রাধাকৃষ্ণকে দোলানো হয়ে থাকে। রাধাকৃষ্ণের মূর্তিকে দোলনায় স্থাপন করে মূর্তিযুগলকে ঝোলানো থেকে শুরু করে পাঁচদিন তাদের নানারকম সাজে সাজানো, প্রেমভক্তি, নামগান— বৃন্দাবনে তাঁদের বিশুদ্ধ প্রেমপর্ব সমস্তকিছু ভক্তগনের সামনে ঝুলনযাত্রার মাধ্যমে পরিবেশন করা হয়। এককথায় রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলার পাঁচদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠান ঝুলন উৎসব নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে ঝুলন উৎসব, জানুন ঝুলনযাত্রার মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য
ঝুলনযাত্রার তাৎপর্য
ঝুলনযাত্রা শুরুর দিন সহজ কিছু উপায়ের মাধ্যমে মনের বাসনা পূর্ণ করুন। শ্রীকৃষ্ণের ভক্তদের জন্য ঝুলনযাত্রা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। ভূলোকে রাধাকৃষ্ণের লীলা উৎসবই হল ঝুলনযাত্রা। শ্রীকৃষ্ণ পুজোর মাধ্যমে মানুষ শান্তি পেতে পারেন এবং মনের ইচ্ছা পূরণ করতে পারেন। ঝুলনযাত্রার দিন সঠিক নিয়মে রাধাকৃষ্ণের পুজো করে এবং সহজ কিছু উপায়ের মাধ্যমে অত্যন্ত শুভ ফল লাভ করতে পারবেন।
পুজোর নিয়ম
রাধাকৃষ্ণের যুগল মূর্তি বা ছবি প্রতিষ্ঠা করুন। সঙ্গে অবশ্যই গণেশের মূর্তি বা ছবি রাখবেন। প্রথমে গণেশের পুজো করবেন, তার পর রাধাকৃষ্ণের পুজো করবেন। যথাসাধ্য মিষ্টান্ন নিবেদন করুন এবং হলুদ রঙের ফুল ও ফল অর্পণ করুন। একটা কথা বিশেষ করে মনে রাখতে হবে, এই পুজোর স্থানটি যেন খুব শান্ত হয়।
• রাধাকৃষ্ণকে হলুদ বস্ত্র দিয়ে সাজান।
• শ্রীকৃষ্ণের মন্দিরে ময়ূরের পালক ও মুকুট দান করুন।
• পুজোর সময় ঘিয়ের প্রদীপ অবশ্যই জ্বালতে হবে।
• পুজো শেষে গীতা পাঠ ও গায়ত্রীমন্ত্র জপতে হবে।
• রাধাকৃষ্ণের চরণে তুলসীপাতা অর্পণ করতে হবে।
• দরিদ্রদের দান করতে হবে।
• বাড়িতে নারায়ণ সেবার ব্যবস্থা করতে হবে।
• পুজো হলুদ বস্ত্র পরে করতে হবে।
• পুজোর জায়গায় এক টুকরো চন্দন রাখুন। এতে বাড়িতে শুভ শক্তি প্রবেশ করে।
• এই দিন জল দান করলে জীবনে সুখ সমৃদ্ধি লাভ হয়।