Kamakhya Devi: অম্বুবাচীতে 'জাগ্রত' হন দেবী কামাখ্যা, ভক্তের ভিড় নীল পর্বতে...
কামাখ্যা মন্দিরে ভক্তের ভিড়।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলছে অম্বুবাচী। এই সময় তিনদিনের জন্য বন্ধ থাকে গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরের দ্বার। প্রচলিত বিশ্বাস, এই সময় মা কামাখ্যা (Kamakhya Temple) ঋতুমতী হন। অম্বুবাচী উপলক্ষে তিন ধরে চলে বিশেষ পুজো-পাঠ-মেলা।
পুরাণ অনুযায়ী, শিবনিন্দা সহ্য করতে না পেরে দেহত্যাগ করেন সতী। তাঁকে নিয়ে তাণ্ডব নৃত্য করতে শুরু করেন সতী-পতি মহাদেব। শুরু হয় প্রলয়। শিবকে শান্ত করতে সুদর্শন চক্র দিয়ে সতীর দেহ ছিন্নভিন্ন করে দেন বিষ্ণু। সতীর যোনিদেশ গিয়ে পড়ে কামাখ্যায়। এই কামাখ্যা প্রসিদ্ধ সিদ্ধপীঠ। প্রতিবছর ৭ আষাঢ় রজঃস্বলা হন দেবী কামাখ্যা। নীল পর্বতে অবস্থিত দেবী কামাখ্যার মন্দির (Kamakhya Temple) চত্বর তন্ত্র সাধনার পবিত্র ক্ষেত্র। তাই অম্বুবাচীর সময় দেশ-বিদেশের নানা স্থান থেকে তান্ত্রিক ও অঘোরিরা এসে উপস্থিত হন এখানে। মগ্ন থাকেন জপ-তপে। লোকবিশ্বাস, এই সময় দেবী জাগ্রত হন। তাই যা কিছু কামনা, দেবীর কাছে তা করতে হয় এই সময়।
প্রতি বছর ২২ জুন থেকে বন্ধ থাকে মন্দিরের দ্বার। খোলা হয় ২৫ জুন। এই সময় মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন না ভক্ত কিংবা পুরোহিতরা। মন্দির বন্ধের দিন সতীর প্রস্তরীভূত যোনিমণ্ডলের ওপর রেখে দেওয়া হয় একটি সাদা কাপড়। মন্দির খোলা হলে দেখা যায়, সেটি রক্তে রাঙা। সেই কাপড়ের টুকরোই প্রসাদ হিসেবে বিলি করা হয় ভক্তদের।
মন্দিরের দ্বার বন্ধ হলেও, পুজো-পাঠ বন্ধ থাকে না। এই সময় দেবীর ভোগরাগ হয় বাইরে দেবী মূর্তির সামনে। অবশ্য প্রতিদিনই তাই হয়। পার্থক্য কেবল, বছরের ৩৬২ দিন ভক্তরা যোনিপীঠ দর্শন করতে পারলেও, অম্বুবাচী চলাকালীন তা করা যায় না। রজঃনিবৃত্তির পর ঋতুস্নান করিয়ে খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দ্বার। তারপর ফের ভক্তরা দর্শন করতে পারেন সতীর প্রস্তরীভূত যোনি।
আর পড়ুন: বাংলায় জাল নথি বানিয়ে হিন্দু ‘সেজে’ বাস অনুপ্রবেশকারীর, গ্রেফতার বাংলাদেশি
অম্বুবাচী চলাকালীন স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই গরম খাবার খান না। পুরোহিতরাও এই তিনদিন গরম কোনও খাবার খান না। অনেকে আবার ফলমূল খেয়েই কাটান অম্বুবাচীর দিনগুলি। যেহেতু অম্বুবাচীতে দেবীর মহিমা প্রকটিত হয়, তাই এই সময় তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না কামাখ্যায়। মেলা উপলক্ষেও প্রচুর মানুষের আগমন হয় (Kamakhya Temple)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।