এখানে মা দুর্গার বাহন নৃসিংহ বা নরসিংহ অবতার! কোথায় হয় এই পুজো?
(বাঁ দিকে) কান্দির জজান গ্রামে দত্ত পরিবারের দুর্গাপুজোর মণ্ডপ, (ডান দিকে) প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির জজান গ্রামে দত্ত পরিবারের দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) এবার ১৮৫ বর্ষে পদার্পণ করল। কথিত আছে, তৎকালীন সময়ে প্রাণকৃষ্ণ দত্ত নামে এক বণিক ভরতপুরের ময়ূরাক্ষী নদীর তীরে দেবী দশভূজার স্বপ্ন দেখতে পান। তারপরই তিনি এই দুর্গাপুজো শুরু করেন। সেই সময় থেকে এই ২০২৩ সাল পর্যন্ত উমা বন্দনায় মেতে ওঠে গোটা জজান গ্রাম সহ পারিপার্শ্বিক গ্রামগুলি।
মা দুর্গার বাহন নৃসিংহ (Durga Puja 2023)
মা দুর্গার বাহন আমরা জানি সিংহ। কিন্তু এখানে মা দুর্গার বাহন নৃসিংহ বা নরসিংহ অবতার। সাবেকি মূর্তিতে প্রথম থেকেই এই দেবীকে পুজো করার রীতি চলে আসছে বলে জানান অসিতকুমার দত্ত। এই পুজোয় আজ পর্যন্ত বনেদিয়ানার ছাপ (Durga Puja 2023) স্পষ্ট। পুজোকে কেন্দ্র করে দত্ত বাড়ির সঙ্গে এলাকার মানুষের উদ্দীপনা থাকে দেখার মতো। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বোধনের দিন থেকে নবমীর দিন পর্যন্ত প্রতিদিন দু'বেলা করে টেকরা বাজে। তাঁদের দাবি, এই ধরনের বাজনা অনেক জায়গায় দেখতেই পাওয়া যাবে না। টেকরা এক ধরনের বাজনা, ওর সঙ্গে থাকে সানাই।
কোনও অন্ন ভোগের ব্যবস্থা নেই (Durga Puja 2023)
এই দুর্গাপুজোয় কোনও অন্ন ভোগের ব্যবস্থা নাই। সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমী- দু'বেলা মাকে লুচি ভোগ এবং ওর সঙ্গে সাত রকম ভাজা দেওয়া হয়। এখানের পুজো পুরোপুরি বৈষ্ণব মতে হয়। প্রবীর দত্ত নামে এক সদস্য জানান, মায়ের পুজোর এই তিন দিন মা দুর্গাসহ সাত জনকে প্রতিদিন শরবত দেওয়া হয়। তিনি বলেন, কোনও অতিথি বাড়িতে এলে আমরা যেমন প্রথমেই তাঁকে শরবত দিই, ঠিক তেমনি মা বাড়িতে আসার কারণে তাঁদেরকে শরবত দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, বিসর্জনের (Durga Puja 2023) সময় ৩০-৪০ জন মানুষ কাঁধে করে মাকে নিয়ে যাবেন। তারপর সর্বমঙ্গলা মন্দিরের সামনে পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।