পুরুলিয়া জেলার এই অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর খবর রাখেন?
পাকবিড়রার জৈন মন্দির। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা তথা ভারতের অন্যতম প্রাচীন হল পাকবিড়রা মন্দির (Purulia)। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার পুঞ্চা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এক প্রত্নস্থল এই পাকবিড়রা মন্দির। প্রকৃতপক্ষে পাকবিড়রার এই জৈন মন্দিরটি তিনটি মন্দির নিয়ে গড়া। নবম এবং দশম শতাব্দী থেকেই মন্দিরটির অস্তিত্বের কথা জানা যায়। এখানকার একটি স্মৃতি ফলকে তার উল্লেখ পাওয়া যায়।
শিল্পশৈলীর উৎকৃষ্ট উদাহরণ (Purulia)
এখানকার অধিকাংশ ভাস্কর্যই বেশ উঁচু। তার মধ্যে শীতলনাথ মূর্তিটি প্রায় সাড়ে সাত ফুট এবং পদ্মপ্রভা মূর্তিটি প্রায় ৮ ফুট উঁচু। এখানে রয়েছে জৈন তীর্থঙ্কর ধর্মাচরণ, মহাবীর, রিষভনাথ, সম্ভবনাথ, চন্দ্রপ্রভা প্রভৃতি ভাষ্কর্য। যদিও এটি মূলত একটি জৈন মন্দির বলেই পরিচিত, তবুও এখানকার পদ্মপ্রভা মন্দিরটিকে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ভৈরবনাথ জ্ঞানে বিশ্বাস এবং পুজো করেন। এছাড়াও পাকবিড়রা মন্দিরে (Purulia) রয়েছে দেবি অম্বিকা, পদ্মাবতী প্রভৃতি ভাস্কর্য। মন্দিরের মোল্ডিং এবং প্রাচীরের কুলুঙ্গী এখানকার বিশেষ আকর্ষণ। প্রধান মন্দিরে রয়েছে প্রাথমিক কক্ষ এবং পবিত্র স্থান, কঞ্চি মন্দির, আটজন তীর্থঙ্করের ভাস্কর্য। সব মিলিয়ে মন্দিরটি যেন প্রাচীন ভারতের ইতিহাস এবং শিল্পশৈলীর এক অনন্য দক্ষতা ও নিপুণতার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
যাবেন কীভাবে? (Purulia)
যাতায়াত-পাকবিড়রা যাওয়া যায় পুরুলিয়া থেকেও। পুরুলিয়া থেকে দূরত্ব প্রায় ৪০ কিমি। আর এখান থেকে তুলনামূলক ভাবে কাছে হয় পুরুলিয়ারই আর এক দারুণ সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর স্থান "ফুটিয়ারি ড্যাম"। দূরত্ব প্রায় ৩৬ কিমি। যেতে সময় লাগে প্রায় ৫০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা। সেক্ষেত্রে রাস্তা হবে এই রকম "ফুটিয়ারি-হুড়া-লালপুর-বাগদা-দাদখা-পুঞ্চা রোড-পাকবিড়রা।" আর কলকাতা থেকে ট্রেনে গেলে রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুরুলিয়া এক্সপ্রেস (Purulia) প্রভৃতি ট্রেনে পুরুলিয়া এসে সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে যেতে হবে পাকবিড়রা মন্দির।
থাকা খাওয়া-ফুটিয়ারি থেকে ঘুরে আসতে চাইলে থাকতে পারেন "ফুটিয়ারি রিট্রিট"-এ । ফোন-৯০৫১১৬৬৫৬৩। আর পুরুলিয়ায় থাকতে চাইলে এখানে রয়েছে বেশ কিছু হোটেল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।