আজ লোকনাথ বাবার তিরোধান দিবস, জানুন দিনটির মাহাত্ম্য
লোকনাথ ব্রহ্মচারী (সংগৃহীত)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: "রণে বনে জলে জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়িবে, আমাকে স্মরণ করিও আমিই রক্ষা করিব", ভক্তদের উদ্দেশে এমনই বাণী শুনিয়েছিলেন লোকনাথ বাবা (Loknath Baba Puja)। তাঁর শিষ্যদের বিশ্বাস, ডাকলেই সাড়া দেন লোকনাথ বাবা। আজ ১৯ জ্যৈষ্ঠ লোকনাথ বাবার তিরোধান দিবস। লোকনাথ বাবার ভক্তর সংখ্যা ওপার বাংলা-এপার বাংলা মিলিয়ে প্রচুর। তাঁর ওপর আস্থা রেখে চলেন অগণিত মানুষ। বিশ্বাস, তাঁর ওপরে আস্থা রাখলে কঠিন পরীক্ষা পার করা যায় জীবনে। চলার পথে যখনই বাধা আসে তখনই পথ দেখান লোকনাথ বাবা।
চলতি বছরে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ১৬০তম তিরোধান দিবস। বাংলার ১২৯৭ সালের ১৯ জ্যৈষ্ঠ তিনি তাঁর দেহত্যাগের কথা ঘোষণা করে দেন। ওই দিনই বেলা ১১টা ৪৫মিনিটে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বারদি আশ্রমে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। লোকনাথ বাবার ভক্তদের বিশ্বাস, তিনি ১৬০ বছর জীবিত ছিলেন। তাই এই দিনটিকে অত্যন্ত নিষ্ঠা, শ্রদ্ধা সহকারে স্মরণ করা হয়। ঘরে ঘরে লোকনাথ ভক্তরা তাঁর পুজো করেন। লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তিরোধান উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন মেলার আয়োজনও চোখে পড়ে নানা দিকে। ভক্তদের মনে সর্বদাই সাহস যোগাতেন তিনি এবং তাঁর বাণী ছিল, "তুমি কখনও একা নও আমি সর্বদা তোমার সঙ্গে আছি। এই সত্য কখনও ভুলবে না, আমি চিরকাল তোমার মধ্যে উপস্থিত।"
লোকনাথ ব্রহ্মচারীর (Loknath Baba Puja) জন্ম বাংলার ১১৩৭ সালের ভাদ্র মাসে। জানা যায় পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটের চৌরাশি চাকলার অন্তর্গত কচুয়া গ্রামে তাঁর জন্ম হয়। লোকনাথ ব্রহ্মচারীর পিতামাতার চার সন্তান ছিল। তার মধ্যে চতুর্থ সন্তান ছিলেন লোকনাথ ব্রহ্মচারী। জানা যায়, তাঁর পিতার নাম ছিল রামনারায়ণ ঘোষাল। পিতা নিজেই চেয়েছিলেন তাঁর সন্তান একজন ব্রহ্মচারী হোক। ১১ বছর বয়সে পুত্র লোকনাথ ব্রহ্মচারীর সঙ্গে তিনি পৈতে দেন পুত্রের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বেণীমাধবেরও। তারপরেই তাঁরা আচার্য গঙ্গোপাধ্যায় নামের এক গুরুর শিষ্যত্ব লাভ করেন বলে জানা যায়। বাংলার ১১৪৮ সালে এই আচার্য গঙ্গোপাধ্যায় দুই শিষ্যকে নিয়ে কালীঘাটের উদ্দেশে রওনা দেন এবং কলকাতায় এসে সাধন ভজন সমেত নানা রকমের আধ্যাত্মিকতার কাজ তাঁরা শুরু করেন। দুই শিষ্য দীর্ঘ ৩০-৪০ বছর পর্যন্ত সারা দিনে একবারই অন্ন গ্রহণ করতেন বলে জানা যায়। ভক্তদের বিশ্বাস ৫০ বছর ধরে কঠিন তপস্যা করে লোকনাথ ব্রহ্মচারী সিদ্ধি লাভ করেন ৯০ বছর বয়সে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।