img

Follow us on

Tuesday, Nov 26, 2024

Ramakrishna 201: “প্রাণনাথ, হৃদয়বল্লভ তোরা কৃষ্ণ এনে দে...না হয় আমায় নিয়ে চল; তোদের চিরদাসী হব”

Kathamrita: “কোকিল-কুলকুর্বতি কলনাদম্‌”…‘কথামৃত’ থেকে শুনুন সেই অমৃত বাণী

img

শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। সংগৃহীত চিত্র।

  2024-11-25 14:11:14

ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

অষ্টম পরিচ্ছেদ

১৮৮৩, ২৭শে মে

দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

জগন্মাতার পূজা ও আত্মপূজা—‘বিপদনাশিনী’ মন্ত্র ও নৃত্য 

শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ভক্তদের বলিতেছেন, সংসারীদের সম্মুখে কেবল দুঃখের কথা ভাল নয়। আনন্দ চাই। যাদের অন্নাভাব, তারা দুদিন বরং উপোস করতে পারে; আর যাদের খেতে একটু বেলা হলে অসুখ হয়, তাদের কাছে কেবল কান্নার কথা, দুঃখের কথা ভাল নয়।

“বৈষ্ণবচরণ বলত, কেবল পাপ পাপ—এ-সব কি? আনন্দ কর।”

ঠাকুর আহারান্তে একটু বিশ্রাম করিতে না করিতে মনোহরসাঁই গোস্বামী আসিয়া উপস্থিত।

শ্রীরাধার ভাবে মহাভাবময় শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—ঠাকুর কি গৌরাঙ্গ! 

গোস্বামী পূর্বরাগ কীর্তন গান করিতেছেন। একটু শুনিতে শুনিতেই ঠাকুর রাধার ভাবে ভাববিষ্ট।

প্রথমেই গৌরচন্দ্রিকা কীর্তন। “করতলে হাত—চিন্তিত গোরা—আজ কেন চিন্তিত?—বুঝি রাধার ভাবে হয়েছে ভাবিত।”

গোস্বামী আবার গান গাইতেছেন:

ঘরের বাহিরে, দণ্ডে শতবার তিলে তিলে আসে যায়
কিবা মন উচাটন, নিশ্বাস সঘন, কদম্ব কাননে চায়।
(রাই, এমন কেন বা হল গো!)

গানের এই লাইনটি শুনিয়া ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের মহাভাবের অবস্থা হইয়াছে। গায়ের জামা ছিঁড়িয়া ফেলিয়া দিলেন।

কীর্তনিয়া যখন গাইতেছেন:

শীতল তছু অঙ্গ।
তনু পরশে, অমনি অবশ অঙ্গ!
মহাভাবে ঠাকুরের কম্প হইতেছে!

(কেদার দৃষ্টে) ঠাকুর কীর্তনের সুরে বলিতেছেন, “প্রাণনাথ, হৃদয়বল্লভ তোরা কৃষ্ণ এনে দে; সুহৃদের তো কাজ বটে; হয় এনে দে, না হয় আমায় নিয়ে চল; তোদের চিরদাসী হব।”

গোস্বামী কীর্তনিয়া ঠাকুরের মহাভাবের অবস্থা দেখিয়া মুগ্ধ হইয়াছেন। তিনি করজোড়ে বলিতেছেন(Kathamrita), “আমার বিষয়বুদ্ধি ঘুচিয়ে দিন।”

শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—“সাধু বাসা পাকড় লিয়া।” তুমি এত বড় রসিক; তোমার ভিতের থেকে এত মিষ্ট রস বেরুচ্ছে!

গোস্বামী—প্রভু, আমি চিনির বলদ, চিনির আস্বাদন করতে কই পেলাম?

আবার কীর্তন চলিতে লাগিল। কীর্তনিয়া শ্রীমতীর দশা বর্ণনা করিতেছেন (Kathamrita)—

“কোকিল-কুলকুর্বতি কলনাদম্‌”

কোকিলের কলনাদ শুনে শ্রীমতির বজ্রধ্বনি বলে মনে হচ্ছে। তাই জৈমিনির নাম কচ্ছেন। আর বলছেন, “সখি, কৃষ্ণ বিরহে এ প্রাণ থাকিবে না—রেখো দেহ তমালের ডালে।”

গোস্বামী রাধাশ্যামের মিলন গান গাহিয়া (Kathamrita) কীর্তন সমাপ্ত করিলেন।

আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?"

আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?"

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

bangla news

Bengali news

ramakrishna

madhyom news

news in bengali

Ramakrishna Paramahansa

Mahendranath Gupta

Sri Sri Ramakrishna

Kathamrita


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর