Kathamrita: “মহাকালী ও সৃষ্টি প্রকরণ”……‘কথামৃত’ থেকে শুনুন সেই অমৃত বাণী
শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। সংগৃহীত চিত্র।
শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ ও কথোপকথন
চতুর্থ পরিচ্ছদের
তমেব সূক্ষ্ম ত্বং স্থূলা ব্যক্তাব্যক্তস্বরূপিণী।
নিরাকারপি সাকারা কস্তাং বেদিতুমর্হতি।।
(মহানির্বাণতন্ত্র, চতুর্থোল্লাস, ১৫)
বেদ ও তন্ত্র সমন্বয়—আদ্যাশক্তি ঐশ্বর্য
যেমন জল, ওয়াটার, পানি। এক পুকুরে তিন-চার ঘাট; একঘাটে হিন্দুরা জল খায়, তারা বলে জল। একঘাটে মুসলমানেরা জল খায়, তারা বলে পানি। আর—এক ঘাটে ইংরেজরা জল খায়, তারা বলে ওয়াটার। তিন-ই এক, কেবল নামে তফাত। তাঁকে কেউ বলছে আল্লা, কেউ গড, কেউ বলছে ব্রহ্ম, কেউ কালী, কেউ বলছে (Kathamrita) রাম, হরি যীশু, দুর্গা।
কেশব(সহাস্যে)—কালী কতভাবে লীলা (Ramakrishna) করেছেন, সেই কথাগুলি একবার বলুন।
কেশবের সহিত কথা—মহাকালী ও সৃষ্টি প্রকরণ
শ্রীরামকৃষ্ণ(সহাস্যে)—তিনি (Ramakrishna) নানা ভাবে লীলা করছেন। তিনি মহাকালী, নিত্যকালী, শ্মাশানকালী, রক্ষাকালী, শ্যামকালী। মহাকালী, নিত্যকালীর কথা তন্ত্রে আছে। যখন সৃষ্টি হয় নাই, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, পৃথিবী ছিল না, নিবিড় আঁধার, তখন কেবল মা নিরাকার মহাকালী—মহাকালের সঙ্গে বিরাজ করছিল।
শ্যামাকালীর অনেকটা কোমল ভাব—বরাভয়দায়িনী। গৃহস্থবাড়িতে তাঁরই পূজা হয়। যখন মহামারী, দুর্ভিক্ষ, ভূমিকম্প, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি—রক্ষাকালীর পূজা করতে হয়। শ্মাশানকালীর সংহারমূর্তি। শব, শিবা (Ramakrishna), ডাকিনী, যোগিনী মধ্যে শ্মশানের উপর থাকেন। রুধিরদারা, গলায় মুণ্ডমালা, কটিতে নরহস্তের কোমরবন্ধ। যখন জগৎ নাশ হয়, মহাপ্রলয় হয়, তখন মা সৃষ্টির বীজ সকল কুড়িয়ে রাখেন। গিন্নীর কাছে যেমন একটা ন্যাতা-ক্যাতার হাঁড়ি থাকে, আর সেই হাঁড়িতে গিন্নী পাঁচরকম জিনিস তুলে রাখে (Kathamrita)। (কেশবের ও সকলের হাস্য)
আরও পড়ুনঃ “সূর্যকে বাদ দিয়ে সূর্যের রশ্মি ভাবা যায় না, সূর্যের রশ্মিকে ছেড়ে সূর্যকে ভাবা যায় না”
আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”
আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?"
আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।