চলতি বছরে দোল ৮ মার্চ
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরে দোল ৮ মার্চ। ঠিক তার আগের দিন ন্যাড়াপোড়া, সেটাই আবার বাংলার বাইরে হোলিকা দহন। হোলি (Holi) ও দোল নিয়ে নানা মতভেদ থাকলেও দোলের আগের দিন রাতে সব জায়গায় এই হোলিকা দহন পালিত হয়। শুধু কোথাও বলে চাঁচড় পোড়া, কোথাও ন্যাড়া পোড়া, আবার কোথাও হোলিকা দহন। তবে, এই উৎসবের পিছনে আধ্যাত্মিক গুরুত্বও রয়েছে।
পুরাণ কাহিনি অনুযায়ী, রাক্ষস রাজা হিরণ্যকশিপু তাঁর প্রজাদের পুজোপাঠ এবং যেকোনও প্রকারের ধর্মাচরণ বন্ধ করে দেন। হিরণ্যকশিপু নিজেকেই ঈশ্বর মনে করতেন। প্রজারা তাই অন্য কোনও দেবতার পুজো করতে পারত না। অমরত্ব লাভের জন্য রাক্ষস রাজা ব্রহ্মার তপস্যা শুরু করেন। তাঁর তপস্যায় খুশি হয়ে ব্রহ্মা তাঁকে পাঁচটি বর দেন। এক, কোনও মানুষ বা কোনও প্রাণী তাঁকে বধ করতে পারবে না। ঘরের ভিতর বা ঘরের বাইরে তাঁর মৃত্যু হবে না। দিনে বা রাতে তাঁর মৃত্যু হবে না। কোনও অস্ত্র বা শস্ত্রের দ্বারাও মৃত্যু হবে না। এবং জল, ভূমি ও শূন্যেও তাঁর মৃত্যু হবে না।
হিরণ্যকশিপুর অত্যাচার বাড়ার পর তিনি প্রহ্লাদকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ তাঁর পুত্র হয়ে ভক্ত প্রহ্লাদ ভগবান বিষ্ণুর পুজো করতেন। এটা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না রাক্ষসরাজা। এক্ষেত্রে তিনি নিজের বোন হোলিকার সাহায্য নেন। হোলিকা ব্রহ্মার কাছ থেকে একটি শাল পেয়েছিলেন, এই শাল ছিল একধরনের রক্ষাকবচ। যেটা তাঁকে সবসময় রক্ষা করবে। তাই ঠিক হয় যে হোলিকা প্রহ্লাদকে নিয়ে আগুনের মধ্যে বসবেন। শাল থাকায় তাঁর কিছু হবে না কিন্তু প্রহ্লাদ পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। কিন্তু আগুনের মধ্যে প্রবেশ করা মাত্র হোলিকার শাল প্রহ্লাদের গায়ে গিয়ে পড়ে আর হোলিকা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কিন্তু প্রহ্লাদ সুরক্ষিত থাকে। এখান থেকেই শুরু হয় হোলিকা দহন।
দোল উৎসব মানে এক পবিত্র তিথি, ভক্তদের বিশ্বাস এই দিন সমস্ত অশুভ শক্তির বিনাশ হয় এবং শুভ শক্তির বিকাশ ঘটে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ
Tags: