প্রদর্শনী মায়াপুর ইসকনে, কী কী দেখতে পাবেন জানেন?
মায়াপুর ইসকনে চলা প্রদর্শনীর নিজস্ব চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশিষ্ট আধ্যাত্মিক গুরু, আচার্য ও গৌড়ীয় মঠের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর প্রভুপাদের জীবন ও তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে ২০০০ বর্গ মিটার জায়গা জুড়ে 'বিশ্বের বৃহত্তম প্রদর্শনী' শুরু হল মায়াপুরে ইসকনের ‘টেম্পল অফ বৈদিক প্ল্যানেটোরিয়ামে’ (Mayapur Iskcon)। সারস্বত বৈষ্ণব সমাজের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী সাজিয়ে তোলা হয়েছে কলকাতার ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে। উল্লেখ্য, ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর প্রভুপাদ গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারে তৎকালীন ভারতে ৬৪টি মঠ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ভারতের বাইরে ব্রহ্মদেশ, জার্মানি এবং ইংল্যান্ডেও গৌড়ীয় বৈষ্ণব প্রচার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। এর সুবাদে দেশের বাইরেও কৃষ্ণনাম ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর জন্মের সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে তাঁকে নিয়ে বিশাল প্রদর্শনী খোলা হয়েছে সর্বসাধারণের জন্য। বেশ কয়েক মাস ধরে এই প্রদর্শনী চলবে বলে ইসকন সূত্রে জানানো হয়েছে।
কী কী রয়েছে? (Mayapur Iskcon)
প্রভুপাদের পাণ্ডুলিপি, তাঁর লেখা বই, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের পাশাপাশি প্রভুপাদের দুষ্প্রাপ্য ছবিও এই প্রদর্শনীতে দেখার সুযোগ থাকছে। গৌড়ীয় ধর্ম প্রচারে তাঁর অবদান এই প্রদর্শনীর মাধ্যমেই তুলে ধরা হয়েছে। এপর্যন্ত ইসকনে যতগুলি প্রদর্শনী হয়েছে তার মধ্যে এটিই অন্যতম ও সবচেয়ে বড় আকারের বলে উদ্যোক্তাদের পক্ষে দাবি করা হচ্ছে। আধ্যাত্মিক জীবনে ধর্মপ্রচারের জন্য প্রভুপাদ যে পরিব্রাজক হিসেবে ভ্রমণ করেছিলেন, তাও তুলে ধরা হয়েছে এই প্রদর্শনীটিতে (Mayapur Iskcon)।
৫০০০ এর বেশি আর্টিকল (Mayapur Iskcon)
প্রদর্শনীটি সাজিয়ে তুলেছেন বিশিষ্ট শিল্প নির্দেশক যাদব সেন। গবেষণা করেছেন ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের গ্রন্থাগারিক সৌরিশ দাস। ৯৬টি প্যানেলে ৫০০০ এর বেশি আর্টিকল এই প্রদর্শনীতে স্থান করে নিয়েছে। টেম্পল অফ বৈদিক প্ল্যানেটোরিয়াম-এর নির্দেশক ব্রজবিলাস দাস প্রভু এই প্রদর্শনীর (Mayapur Iskcon) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের নভেম্বরে ইউনেস্কো শ্রীমৎ ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর প্রভুপাদের মতো দার্শনিক, সমাজ সংস্কারক ও বিশিষ্ট আধ্যাত্মিক মহাপুরুষের ১৫০ তম জন্মবার্ষিকীকে তাদের বার্ষিকী উদযাপনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। মূলত ইসকন মন্দিরের জন্য মায়াপুরে সারা বছর পুণ্যার্থী থেকে সাধারণ পর্যটকের অভাব হয় না। এই প্রদর্শনী চলাকালীন মন্দিরের পাশাপাশি মায়াপুরেও পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে বলে আশা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।